ফাওয়াদ খান তাঁর সুদর্শন চেহারার জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। পাকিস্তানি অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার্সের সংখ্যা ১.৬ মিলিয়ন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘খুবসুরত’ অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, মাত্র ১৭ বছর বয়সে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
কাপুর অ্যান্ড সন্স তারকা জানান সেই সময় খুব জ্বর আসে তাঁর। আর সঙ্গে ৭ দিনে কমে যায় বেশ অনেকটাই ওজন। ফাওয়াদের কথায়, ‘যখন আমার বয়স ১৭ বছর তখন আমার শরীর অটো ইমিউন প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। মারাত্মক জ্বর আসে। আট দিনে ১০ কেজি ওজন কমে যায়। আমি ৬৫ কেজির ছিলাম। ৫৫ কেজি হয়ে যাই।’
‘এর পরেরদিন আমার পিপাষা মারাত্মক বেড়ে গেল। ফলে আপনি জল পান করবেন বেশি বেশি করে। আর সঙ্গে বারবার আপনাকে বাথরুমেও যেতে হবে। আমি দিনে ৭-৮ লিটার জল পান করতাম। তারপরও আমার মুখ শুকনো থাকত। এত ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলাম।’, জানান ফাওয়াদ। এরপর যখন তাঁর শরীরে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা হয় তখন টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। সেই সময় তাঁকে ইনসুলিনও নিতে হয়েছিল।
ফাওয়াদ এরপর জানান, তিনি ১৭ বছর বয়স থেকে ইনসুলিন নিয়ে আসছেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৪১ বছর। ২৪ বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রাণ্ত। জীবনে কতটা প্রভাব ফেলেছে ডায়াবেটিস জানতে চাওয়া হলে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ অভিনেতা জানান, ‘আমি স্কুলে বেশ সক্রিয় ছিলাম, প্রতিটি খেলাধুলায় অংশ নিতাম। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর বলা যেতে পারে সবই বন্ধ হয়ে যায়। একটুতেই তখন ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। আর আগের মতো উৎসাহও পেতাম না।’
বলিউডে 'খুবসুরত', 'কাপুর অ্যান্ড সন্স', 'অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল'-এর মতো ছবি করেছেন ফাওয়াদ। যদিও বর্তমানে দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের আঁচ এসে পড়েছে সিনেমার জগতেও। ২০১৬-র পর থেকে পাকিস্তানের শিল্পীদের ভারতে আসা নিষিদ্ধ। সম্প্রতি হলিউড পাড়ি দিয়েছেন এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। 'মিস মার্ভেল'-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বলিউডে ফের কাজ করা নিয়ে ফাওয়াদকে বলতে শোনা যায়, ‘যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের সঙ্গে এখনও সুসম্পর্ক আছে। অনেক ভালো বন্ধু পেয়েছি। ওঁদের সঙ্গে ফের দেখা হলে বা কাজ করতে পারলে খুব ভালো লাগবে। তবে এখন বিশেষ কারও নাম নিলে তাঁর দিকেই আঙুল উঠবে।’