SSC-র চাকরি বাতিল ছাড়াও এই মুহূর্তে চর্চায় রয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। লোকসভার পর ইতিমধ্যেই রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। উচ্চকক্ষে বিলটির পক্ষে ১২৮টি ও বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে। রাত ২টো ৩৪ মিনিটে এই ভোটাভুটির ফল ঘোষিত হয়। আর লোকসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৮৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ভোট দেন ২৩২ জন সাংসদ। এবার এই বিষয়টি নিয়ে Hinsuatan Times Bangla-র কাছে নিজের মতামত তুলে ধরলেন রাজ্য বিজেপি সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক, বিশিষ্ট অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীলের কথায়, ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেছে। এই ওয়াকফ সংশোধনী যে আইন সেটা যে আসলে দরিদ্র মুসলমানের উপকার করার জন্য, সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে যা নরেন্দ্র মোদী করলেন। মুসলমানদের বোকা বানিয়ে সিপিএম, তৃণমূল যে রুটি সেঁকছিল। ওয়াকফ ট্রাইবুনাল বোর্ডে কিছু ধনী মুসলমান যাঁরা গরিব মুসলমানকে লুঠ করছিলেন। তাঁরা এই বলেছিলেন, এই বিল পাশ হলে নাকি ভারতবর্ষে বিরাট দাঙ্গা বাঁধবে, কই কিছুই তো হল না! কারণ, গরিব হিন্দু, গরিব মুসলমান মানুষ জানেন বা বোঝেন নরেন্দ্র মোদীর সব প্রকল্প সবার জন্য সমান। আর তৃণমূলের তো একের পর এক এদের পোল খুলে যাচ্ছে, এরা আসলে দেশ বিরোধী জনগণ বিরোধী। শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এক হয়েছে। তা ধাপে ধাপে স্পষ্ট। আরও স্পষ্ট হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধিতে এদের বিদায় করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’
রুদ্রনীলের কথায়, ‘বিজেপিকে এককভাবে মুসলমানরা ৪০ শতাংশ ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছেন, যা তৃণমূলও পায়নি মুসলমানদের কাছ থেকে। বলা যায়, মুসলমানদের ইদের উপহার হিসাবে, এটা তাঁদের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার করল। সেটা নিশ্চয় অনেকের কাছেই এখন স্পষ্ট হয়েছে, যে কারা আসলে আপনাদের ক্ষতি করছে!'
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ টেনে রুদ্রনীল বলেন, ‘অবৈধ মুসলমানরা আমার রাজ্যের মুসলমানদের ডালভাত ভাগ করে খেয়ে নেবে! পৃথিবীতে কোনও দেশের মানুষই একদেশ থেকে অন্য দেশে লাফিয়ে চলে যেতে পারেন না। সেটা সবাই জানে। এটা আন্তর্জাতিক ল’ এর বিরুদ্ধে। এদিকে তৃণমূলের মতো সরকারের কল্যাণে সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র দেশ ভারত, যার অঙ্গরাজ্য এই পশ্চিমবঙ্গের বর্ডার দিয়ে বিদেশিরা ঢুকে এদেশের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড পেয়ে যায় তৃণমূলের কল্যাণে। পশ্চিমবঙ্গের মাটি থেকে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ এসে বিভিন্ন উগ্রবাদী আর ক্রমিনালদের ধরে নিয়ে যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ রাজীব কুমার প্রেস মিট করে বলেন অবৈধ পাসপোর্ট দেখা নাকি তাঁদের দায়িত্ব নয়। যাঁরা আবার শেখ শাহাজাহানের মতো ক্রিমিনালদের বগলের পাশে রেখেও খুঁজে পান না। তৃণমূলের কল্যাণে পুলিশের থেকে ক্রিমিনাল এখন বেশি গলিতে গলিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন অরাজনৈতিক মঞ্চ, ধর্মীয় মঞ্চ থেকে ক্রিমিনাল দের উস্কানি দেওয়ার জন্য বক্তব্য রাখেন। এদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বিদায় করা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে বাঁচার চান্স নেই।’