বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > বিদেশ থেকে ভারতে এসে ভাষা মাসে বাংলার জয়গান মহীতোষ তালুকদার তাপসের, বললেন, 'গানের দেশ হয় না, ভাষার...'
পরবর্তী খবর
বিদেশ থেকে ভারতে এসে ভাষা মাসে বাংলার জয়গান মহীতোষ তালুকদার তাপসের, বললেন, 'গানের দেশ হয় না, ভাষার...'
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 02 Feb 2024, 09:54 AM ISTSubhasmita Kanji
Mohitosh Talukder Taposh: কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসেছেন মহীতোষ তালুকদার তাপস। তাঁর বহু গানের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই ভাইরাল হয়। ভাষা মাসের শুরুতে শতকণ্ঠে বাংলা গানের অনুষ্ঠানের পর কী জানালেন তিনি?
বিদেশ থেকে ভারতে এসে ভাষা মাসে বাংলার জয়গান মহীতোষ তালুকদার তাপসের
বাংলা গান এবং সংস্কৃতির টানে, সেটার আরও বেশি প্রচারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় ছুটে এসেছেন বহু বাঙালিরা। শহর তো বটেই, বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা অনুষ্ঠান করছেন, ঘটাচ্ছেন ‘সুরবন্ধন’, সে যেন এক আনন্দ-সুরের মহাযজ্ঞ। আর সবটা ঘটছে যাঁর নেতৃত্বে তিনি হলেন মহীতোষ তালুকদার তাপস। ‘ভাষা’ মাসের প্রথমদিনই তাঁদের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাঁর ফাঁকেই এই গান প্রিয়, প্রানবন্ত মানুষটির মুখোমুখি হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
কত বছর গানের সঙ্গে যুক্ত আপনি?
মহীতোষ তালুকদার তাপস: আমার যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকেই। প্রথমে বাংলাদেশেই গান শিখতাম। এরপর ১১ বছর বয়সে সুইডেন যাই গানের জন্য। সেখানেই প্রথমবার মঞ্চে উঠি।
হঠাৎ বাংলা গান, সংস্কৃতিকে নিয়ে বিদেশে বসে এমন কাজের ভাবনা কেন এসেছিল?
মহীতোষ তালুকদার তাপস: গানটা আমার রক্তের মধ্যে, বুকের মধ্যে। ভাবনাটা সবসময়ই ছিল। আর সেটার জন্য দেশ বিদেশ বলে আলাদা করে কিছু হয় না। সবটাই বাংলা ভাষার জন্য। কলকাতায় এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বাংলা বলেন না। আবার ওই দেশে বসেও আমার ছেলে যার পনের বছর বয়স সে দরকার না হলে ইংরেজি বলে না। দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেমের সঙ্গে কোথায় আছি সেটার কোনও যোগ নেই।
মহীতোষ তালুকদার তাপস: ৩২ বছর আমি আমেরিকায় আছি। জানেন, কলকাতা খুব সম্ভবত ১৯৯৩ সাল থেকে কবীর সুমনের তোমাকে চাই গানটি বাজাতে শুরু করে। আমি ১৯৯১ সালেই ঢাকায় বসেই গানটি গেয়েছিলাম। ফলে গান নিয়েই আমার সময় কাটে।
সুরবন্ধনের কলকাতা সফরের প্রথম অনুষ্ঠান বইমেলায় ছিল। কেমন সাড়া পেলেন?
মহীতোষ তালুকদার তাপস: অভূতপূর্ব। দুর্দান্ত। এটা ভাবা যায় না। মানুষ এই কদিনে আমাদের এত ভালোবাসা দিয়েছেন যে কী বলব। আমরা যাঁরা বাইরে থেকে এসেছি সকলে নিজের নিজের খরচ বহন করে এসেছি। কোনও ফান্ডিং নেই আমাদের। তবু, তারপরেও এখানে যে ভালোবাসা পাচ্ছি সেটা অকল্পনীয়।
শত কণ্ঠে বাংলা গান, এদিনের অংশগ্রহণকারীদের সকলেই কি বিদেশ থেকেই এসেছেন?
মহীতোষ তালুকদার তাপস: না, এখানকার অনেকে আছেন। আমরা কয়েকজন বিদেশ থেকে এসেছি। মোট ৭টি দেশ থেকে আমরা এসেছি। সুইডেন, জার্মানি, লন্ডন, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, আমেরিকা এবং এখানকার মানুষরা।
এত মানুষকে সমবেত করলেন কীভাবে বিশ্বের একপ্রান্তে বসে?
মহীতোষ তালুকদার তাপস: আমার বরাবরই লোকজন ভীষণ ভালো লাগে। ২০০৩ সালে আমিই প্রথমবার আমেরিকায় ১০০ কণ্ঠে ১০০০ বছরের বাংলা গানের অনুষ্ঠান করি। তাঁর আগে এমনটা কখনও ভারত বা বাংলাদেশে হয়নি। এখন আর তাই ওই ২-৩ বা ১০ জন দিয়ে ভালো লাগে না। স্টেজ ভর্তি মানুষ থাকবে তবে না! আসলে গানটা কেবল শোনার জিনিস নয়। এটা দেখার জিনিস, ধারণ করার জিনিস। তাছাড়া...
মহীতোষ তালুকদার তাপস: এখানে আসার ৪ মাস আগে আমি ফেসবুকের পাতায় একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে ৮০০ জনের বেশি মানুষ সাড়া দিয়েছিল। অবশেষে বইমেলার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ৩৫০ জনের মতো মানুষ। আমরা ৪ দিন রিহার্সাল করেছি কলকাতায়।