'বয়স মাত্র ৬ মাস, কিন্তু জেহ আমার মতোই দেখতে হয়েছে আর টিম ওর বাবা সইফের মতো' এইচটি ব্রাঞ্চকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। বড় ছেলে তৈমুরকে টিম বলে ডাকেন করিনা। ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে জন্ম হয় বড় ছেলে তৈমুরের। সংবাদমাধ্যমের কাছে তৈমুর আগাগোরাই প্রিয়। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ছোট ছেলে জেহ-এর জন্ম দেন অভিনেত্রী। মাত্র ৬ মাস বয়স তাঁর। নাম রেখেছেন জাহাঙ্গির আলি খান। ম্যাগাজিনের কভার শ্যুটের পরেই বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে লিভিং রুমে বসে সাক্ষাৎকারে চলাকালীন অভিনেত্রী বলেন, ‘মাত্র ৬ মাস বয়সেই বেশি মানুষকে পছন্দ করত না টিম, কিন্তু জেহ স্বাচ্ছন্দ্য’। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘তৈমুরের ব্যক্তিত্ব অনেকটাই ওর বাবা সইফের মতো। জাহাঙ্গীর আমার ও সইফের দু’জনেরই ব্যক্তিত্ব পেয়েছে। টিম ধনু রাশির। ও খুব শিল্প মনস্ক, শৈল্পিক বিষয়ে ওর আগ্রহ আছে। ছবি আঁকতে ভালবাসে, রং করতে পছন্দ করে। বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে টিমের। জে মীন। দেখি ওর আগ্রহ কীসে তৈরি হয়…’।২০১৬ সালে তৈমুর জন্মের আগে আট মাস অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এইচটি ব্রাঞ্চের সঙ্গে ফটোশ্যুট করেছিলেন করিনা। বলিউডের অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম এই ধরণের শ্যুট করেছিলেন তিনি। দুই বার গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন নিজের কাজ চালিয়ে গেছেন করিনা। অনুমোদন, বিজ্ঞাপন, সিনেমা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমির খানের সঙ্গে লাল সিং চাড্ডার একটি রোম্যান্টিক দৃশ্যের জন্যও অভিনয় করেছি আমি। জেহ পেটে থাকাকালীন, ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়’।কেমন ধরণের মা হতে চান করিনা, জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি চাই আমার দুই পুত্রই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভদ্রলোক হোক। আমি চাই মানুষ বলুক তাঁরা ভালভাবে লালিত-পালিত, দয়ালু হোক। আমি ভাবব আমার জীবন সার্থক'। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি চাইনা ওরা সিনেমার হিরো হোক। আমি খুশি হব যদি টিম এসে আমাকে বলে আমি অন্য কিছু করতে চাই... মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ হতে পারে... যেটা তার পছন্দ। আমি আমার ছেলেদের পাশে দাঁড়াতে এবং সমর্থন করতে চাই’।সন্তানদের সব বিষয়ে অতিরিক্ত নাক গলাতে বিশ্বাসী নন করিনা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নই। আমি চাই ওরা নিজেরা পড়ে গিয়ে শিখুক। কারণ এভাবেই আমার মা আমাদের শিখিয়েছে। আমার মা কোনওদিনও কোনও কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী ছিলেন না। বলতেন, নিজেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নাও। কোনও ভুল হলে সেটা থেকেই শিক্ষা নাও। আমিও বিশ্বাস করি সেই পন্থায়। বিশ্বাস করি, নিজের ভুল থেকেই সবচেয়ে বড় শিক্ষা লাভ করা যায়। দুই ছেলেক সে ভাবেই বড় করতে চাই। কিন্তু টিমের ব্যাপারে বলতে পারি, ও অনেক বেশি সজাগ। ওকে এখন থেকেই বলেছিল, ভুল করলে সেটা তোমাকেই শুধরে নিতে হবে। এভাবেই শিক্ষা লাভ করা যায়’।তৈমুরকে আগাগোরাই পাপারাৎজিদের প্রিয়। করিনা-সইফ জেহ কে নিয়ে আলাদা কিছু ভাবছে?অভিনেত্রীর কথায়, ইতিমধ্য়েই তাঁরা সেটা নিয়ে ভেবেছেন। ‘তৈমুরের ক্ষেত্রে ওটা আটকানো সম্ভব হয়নি.. খুব বেশি চর্চা হত। কী চলছে, তাঁরা কী নাম রেখেছে.. এসব আরও… এভাবেই তৈমুর এখন এখানে, টিমের ক্ষেত্রেও তাই হয়। তটাই ছিল যে সাইফ এবং আমি দুজনেই অনুভব করেছি যে এইবার আমাদের অবশ্যই শান্ত হতে হবে। দিনের শেষে তারা শুধু শিশু। তাই আমরা এখনও জেহের কোন ছবি প্রকাশ করিনি, যদিও টিম ক্যামেরার সামনে খুশি খুশি পোজ দেয়’।তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পাপারাজ্জিদের জন্য যখন তিনি পোজ দেন তখন প্রায়ই সইফ তাঁকে নিয়ে মজা করে। ‘সাইফ ক্রমাগত আমাকে উত্যক্ত করে বলে, মা যখন আনন্দের সঙ্গে ছবি তুলছে, তখন বাচ্চারা তাদের মা-কে দেখছে এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। অন্যদিকে, তিনি সম্পূর্ণরূপে এসবে বাইরে। এয়ারপোর্ট লুুক সম্পর্কে তিনি অবগত নন… পাজামা পরেই ফ্লাইটে উঠতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য়। আমি জেহকে এসব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছি, দেখি কতদিন রাখা যায়!’