২০২১ বাংলা বিধানসভা ভোটে বিজেপির তুরুপের তাস ছিল তারকা প্রার্থীরা। আরও বেশি ভোট পাওয়ার আশায় টলিউডের জনপ্রিয় মুখেদের দাঁড় করানো হয়েছিল। তাঁর মধ্যে একমাত্র জয় পেয়েছেন হিরণ ও অগ্নিমিত্রা পল। যশ, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পাপিয়া অধিকারী, পার্নো মিত্র, রুদ্রনীল ঘোষ-রা বিপুল মার্জিনে হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের কাছে। এমনকী, এই হারের পর বেশ কিছু তারকা প্রার্থীকে ভোটের টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি-নেতা তথাগত রায়ও। জানা গিয়েছে এই সমস্ত তারকা প্রার্থীদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আপাতত তুলে নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের কাছে এই মর্মে চিঠিও পৌঁছে গিয়েছে। এখন কোনও প্রার্থী যদি মনে করেন, তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে, তাহলে তাঁকে সে বিষয়ে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে চিঠি লিখতে হবে কেন্দ্রের কাছে। ভোটের আগে প্রত্যেককেই দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। প্রচারের সময়তেও দেখা যেত বিজেপির তারকা প্রার্থীদের ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার একমাস যেতে না যেতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে অবাক অনেকেই।যদিও রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারকা প্রার্থী ছাড়াও, বেশ কিছু বিজেপি নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন পর্যন্ত। নির্বাচন যেহেতু শেষ, তাই কেন্দ্র থেকে পলিসিগত কারণে নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যখন নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তখন দিয়েছে, পরে প্রয়োজন পড়লে আবার দেওয়া হবে। আপাতত, বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা জিতেছে তাঁদেরকে এখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার তোড়জোর শুরু হয়েছে।এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে রুদ্রনীল ঘোষ জানান, ‘আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কমান্ড্যান্ট জিজ্ঞেস করেছেন যে যদি নিরাপত্তা বহাল রাখতে চাই তাহলে চিঠি লিখে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এক্ষেত্রে আমি নিজেই আর নিরাপত্তা চাইনি। পার্টির ওপর মহল যা ঠিক করার করবে।’ একই সুর পাপিয়া অধিকারীর গলাতেও। জানান, ‘কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হবে বলে নির্দেশিকা আসে আমার কাছে। সেখানে বলা হয়েছিল যদি নিরাপত্তা রাখতে চাই তার জন্য আবেদন করতে হবে। আমি আর আবেদন করিনি।’