সলমন খান থেকে শাহরুখ খান, আমির খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, ৯০ দশকের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী ছিলেন মমতা কুলকার্নি। একের পর এক সফল সিনেমায় অভিনয় করার পরেও ২০০০ সালে আচমকাই দেশকে বিদায় জানিয়ে বিদেশে চলে যান তিনি। ২০১৬ সালে ২০০০ কোটি টাকার মাদক মামলায় জড়িয়ে পড়েন মমতা। তাঁর চর্চিত-স্বামী (যদিও বিয়ে অস্বীকার করেন মমতা কুলকার্নি) ছিলেন আন্তর্জাতিক ড্রাগ লর্ড। ফলত মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল মমতারও। তার পরেই শেষ হয়ে যায় বলিউড কেরিয়ার।
২৪ বছর পর ফের দেশে ফিরে এসেছেন অভিনেত্রী। স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জানালেন অজানা কিছু কথা। সম্প্রতি এআইএনএসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মাদক পাচার মামলা এবং ভিকি গোস্বামী প্রসঙ্গে কথা বললেন মমতা। মমতা বলেন, ‘ভিকির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৭ সালে তিনি মাদক মামলায় গ্রেফতার হন। ১২ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। জেলে থাকাকালীন তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে আমি একবার দেখাও করেছিলাম।’
আরও পড়ুন: স্টেজে টক্কর, আর পিছনে বড় ভাব সারেগামাপার সুরের জাদুকর আরাত্রিকা-দেয়াসিনীর! ঘটালেন এই কাণ্ড
আরও পড়ুন: 'ওশ সন্তানসম ওর জন্য বাড়ির দরজা খোলা', ছেলেকে নিয়ে শ্রীময়ীর মন্তব্যে কী জবাব দিলেন পিঙ্কি?
ভিকির সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘এই সমস্ত খবর একেবারেই মিথ্যে। আমি ভিকিকে কোনওদিন বিয়ে করিনি। ১২ বছর ধরে আমি ব্রহ্মচর্য পালন করছি। মাছ মাংস, পেঁয়াজ রসুন কিছুই আমি খাই না গত ১২ বছর ধরে। তবে হ্যাঁ, একটা সময় আমরা সম্পর্কে ছিলাম। আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিল কিন্তু আমি যখন আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশ করি তখন সবকিছু শেষ হয়ে যায়।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘একবার কেনিয়াতেও ভিকির সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম। তবে মাদক চক্রের পর থেকে ওঁর সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। এখন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। তবে ভিকির সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই আমার জীবনে দুর্ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। মাদকচক্রে আমারও নাম জড়িয়ে যায়।’
আরও পড়ুন: এলিফ্যান্ট সেজে ১ম বার স্কুলের অনুষ্ঠানে স্টেজে নাটক করছে ছোট্ট জেহ, কী করলেন করিনা?
আরও পড়ুন: কমছে বাংলা ছবির সংখ্যা, অনির্বাণ বললেন, 'হয়তো এমন ছবি করতে পারছি না যেটা হলে দর্শকদের হলে টানবে'
মমতার কথায়, ‘আমাকে একটা সময় পলাতক ঘোষণা করা হয় কিন্তু আমি কোথাও পালিয়ে যায়নি। তবে যে ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাকে কিছু মাসের মধ্যেই পলাতক ঘোষণা করা হয়। সেই কমিশনারের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন,আমার বিরুদ্ধে কিন্তু কোনও প্রমাণ বা তথ্য পুলিশের কাছে আজও নেই।’