সম্প্রতি দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মথুরার বিজেপি সংসদ হেমা মালিনী। পুজো দেওয়ার পরেই শুরু হয় সমস্যা। একজন মুসলিম হয়ে কীভাবে মন্দিরে ঢুকে তিনি পুজো দিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়ে যায় বিতর্ক। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ।
১৯৭৯ সালের ২১ অগস্ট ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করার জন্য ফয়জাবাদের এক মসজিদে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন হেমা মালিনী। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী ডিভোর্স না দিতে চাওয়ায় দুজনে গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করে নিয়েছিলেন। এই ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে এবার পুরীতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হল হেমা মালিনীকে।
আরও পড়ুন: 'টাইম পাস' মন্তব্যে মুখ খুললেন আদর, বললেন, ‘আমার বাবা মা শিখিয়েছেন…’
আরও পড়ুন: হিন্দু থেকে হয়েছেন মুসলিম, রহমানের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে বন্ধু রাজীব বললেন, ‘ওর পরিবার…’
দোল পূর্ণিমায় পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দিতে গিয়েছিলেন হেমা মালিনী। প্রথমে কোনও সমস্যাই হয়নি, কিন্তু আচমকাই হেমার এই পুজো দেওয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন জগন্নাথ সেনা দল নামে এক ধর্মীয় সংগঠন।
সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, একজন মুসলিম হয়ে কীভাবে হেমা মালিনী মন্দিরে পুজো দিলেন? বিয়ে করার জন্য যেহেতু হেমা ধর্মান্তরিত হয়েছেন, তাই নিয়ম অনুযায়ী তিনি পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ওই ধর্মীয় সংগঠন।
আরও পড়ুন: এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে সেরা ছবি ‘অল উই ইমাজিন…'! সেরা অভিনেত্রী খেতাবও এল ভারতের ঝুলিতে
আরও পড়ুন: 'চিন্তা, মানসিক উত্তেজনা...', সন্তান আসার আগে 'পরম' যত্ন নিয়ে কী বললেন 'হবু মা' পিয়া?
হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করে জগন্নাথ সেনা দল। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত হেমা মালিনীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু ব্যতীত অন্য কোনও ধর্মের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী ব্যক্তিদেরও এই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন মুসলিম হয়ে মন্দিরে পুজো দেওয়ায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ সেনা দল নামের ওই সংগঠনের সদস্যরা।