Sweta-Rubel: লাল বেনারসিতে সিঁদুরে রাঙা শ্বেতা, নাকে নাক ঘষে আদর রুবেলের! মালাবদল হয়ে গেল?

বেশ করেছি প্রেম করেছি! সম্পর্কের শুরু থেকেই এই বার্তায়ই দিয়ে এসেছেন শ্বেতা-রুবেল। রাখঢাক রাখায় বিশ্বাসী নন দুজনেই। যমুনা ঢাকির সেটে শুরু এই প্রেমের কাহিনি। রবিবাসরীয় দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানেদের জন্য বড় সারপ্রাইজ রইল রুবেলের তরফে! আরও পড়ুন-‘মুখ পুড়ুক…’, আদুর গায়ে বিছানায় মাখামাখি, ট্রোলের জবাবে ফের অন্তরঙ্গ ছবি দিলেন শ্বেতা-রুবেল!সোশ্যালে শ্বেতা-রুবেলের আদুরে ছবি-ভিডিয়ো সবর্দাই ট্রেন্ডিং। এদিন একদম কনের সাজে ধরা দিলেন শ্বেতা। পরনে লাল বেনারসি, সিঁথি রাঙানো সিঁদুরে। শোলার মুকুট-ওড়নায় একদম পারফেক্ট বাঙালি কনে শ্বেতা। তাঁকে কাছে টেনে আদরে ভরালেন রুবেল, নাকে-নাক ঘষে বললেন-'দেখা তেনু পেহলি পেহলি বার ওয়ে, হোনে লগা দিল বেকারার ওয়ে…'।রোম্যান্টিক রিলে আদরে-সোহাগে মাখামাখি টেলিপাড়ার এই প্রেমিক যুগল। কিন্তু প্রশ্ন হল, শ্বেতার মাথার সিঁদুর কার নামের? মালাবদল কি সারলেন অভিনেত্রী? শ্বেতা মালাবদল সেরেছেন ঠিকই, তবে সেটা বাস্তবে নয় পর্দায়। আসলে এই ভিডিয়ো রুবেল বানিয়েছেন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র সেটে। যেখানে ফের একবার শ্যামলীর সিঁথি রাঙিয়েছে অনিকেত (রণজয় বিষ্ণু)। রিল-রিয়েল মিলে মিশে একাকার। রুবেলকে বহুবার বলতে শোনা গিয়েছে, নিজের শ্যুটিং শেষ করে সময় পেলেই গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র সেটে হাজির হয়ে যান তিনি। ভিডিয়োর ক্যাপশনে রুবেল লেখেন, ‘সর্বদাই আমার… একসঙ্গে খুশি থাকি আমরা’। মন্তব্য বাক্সে শ্বেতা জানান, ‘এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছি’। খুল্লমখুল্লা রোম্যান্সের জন্য সোশ্যালে ট্রোলডও হন দুজনে, তবে নেতিবাচক মানসিকতাকে পাত্তা দিতে নারাজ দুজনেই।শুরু থেকেই নিজেদের প্রেম নিয়ে খোলামেলা রুবেল-শ্বেতা। দুজনের সম্পর্কে সায় রয়েছে পরিবারের। আগামী বছরেই গাঁটছড়াও বাঁধবেন এই জুটি। সুখবরে সিলমোহর দিয়েছেন নায়ক। রুবেলের জীবনের লাকি চার্ম শ্বেতা। যমুনা ঢাকির সেটে কাছাকাছি আসেন তাঁরা। তবে ছোট থেকেই একসঙ্গে নাচ শিখেছেন দুজনে। বন্ধুত্বে প্রেমের রং লাগে বছর দুয়েক আগে। কিছুদিন আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে জানান, ‘আমরা আগামী বছরই বিয়েটা সেরে ফেলতে চাই। তবে তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।’ সূত্র বলছে ২০২৫-এর জানুয়ারিতেই নাকি সাত পাক ঘুরবেন তাঁরা।প্রেমের প্রথম থেকেই দুই বাড়িতে দুজনের অগাধ যাতায়াত। আসলে তাঁদের সম্পর্কে অনুঘটকের কাজ করেছিল দুই পরিবারই। যখন সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা, তখন এক হতে সাহায্য করেছিল পরিবার। এখন বাস্তব জীবনে শ্বেতাকে কনের সাজে দেখার অপেক্ষা।