মাসকয়েক আগে ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তবে সে পুরস্কার নেওয়া নিয়ে তাঁকে অনেক ট্রোল হতে হয়েছিল। বাদল সরকারের লেখা-র জন্য তিনি কীভাবে চিত্রনাট্য ও সংলাপের পুরস্কার তাঁর নামে নিতে পারেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল একাংশ। সেই সময় চুপই ছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন এই বিতর্কে।
বাদল সরকারের বিখ্যাত নাটক অবলম্বনে তৈরি হয় ‘বল্লভপুরের রূপকথা’। ছবি হিট হয় বক্সঅফিসে। ‘বল্লভপুর’-এর পুরনো রাজবাড়ি, আর তাকে কেন্দ্র করে ঘটে চলা অদ্ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানা নিয়ে এই ছবির গল্প। ঘড়ির কাঁটা রাত ১১টা ছুঁলেই যেখানে আগমন হয় বাঙালি ভূত রঘুদা-র। ৪০০ বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। সহজ-সরল গল্প বলার ধরন, মিষ্টি প্রেমের কাহিনি, ভূত কিন্তু ঠিক অতটা ভয়ের নয় এমন সিনেমা মন কাড়ে সকলের। আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যর মাকে নাকি ঠেলা মারেন জয়া বচ্চন? ভাইরাল ভিডিয়োর আসল সত্যিটা কী
যদিও চিত্রনাট্য ও সংলাপের জন্য আদৌ পুরস্কার অনির্বাণের প্রাপ্য কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেইসময় অনেকেই। প্রযোজক রাণা সরকার খোঁটা দিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বাদল সরকারের লেখা ডায়লগের জন্য ফিল্মফেয়ার পেলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও প্রতীক দত্ত, তাদের অভিনন্দন। আমি এবার গীতাঞ্জলি লিখে নতুন করে বই ছাপাবো, আমাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হোক।’ আরও পড়়ুন: জামাইষষ্ঠীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছেন তৃণা, একটু কি মন খারাপ নীলের?
আনন্দ প্লাসের কাছে এই বিতর্ক নিয়ে অনির্বাণ জানালেন, ভুলটা তাঁদের তরফেই হয়েছে। ছবির শুরুর ক্রেডিটে সম্পাদনা ও সংযোজিত সংলাপ কথাটা লেখা উচিত ছিল। তিনি ভেবেওছিলেন দেবেন। কিন্তু হাজার ব্যস্ততায় শেষে বাদ থেকে যায় ওটাই। তবে অনেকখানি সংলাপ যেহেতু লিখেছেন তিনি আর প্রতীক, তাই পুরস্কার প্রত্যাখান করেননি। তবে মেনে নিয়েছেন অধিকাংশ সংলাপ বাদলবাবুরই লেখা। ভবিষ্যতে আরও সাবধান থাকার কথাও বলেন।
প্রসঙ্গত, ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে উঠেও কিন্তু বাদল সরকারের নাম নিয়েছিলেন অনির্বাণ। প্রয়াত নাট্যকারকেই দিয়েছিলেন ক্রেডিট। জানিয়েছিলেন, যে এই পুরস্কারের বেশিরভাগটাই বাদলবাবুরই প্রাপ্য৷ ফলে ওঁর স্মৃতিতেই তা উৎসর্গ করা হল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )