ভরা বর্ষায় তারকা দম্পতিদের জীবনে যেন ভাঙনের মরসুম! হার্দিক-নাতাশার বিয়ে ভাঙার জল্পনায় সিলমোহর পড়েছে। বচ্চন পরিবারের ঝামেলা নিয়ে কানাঘুষো বেড়েই চলেছে! আম্বানিদের বিয়েতে ঐশ্বর্যর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ রাই সুন্দরীর। এর মাঝেই ডিভোর্স সংক্রান্ত ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিষেকের লাইক দেখে তুলকালাম কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায়! আরও পড়ুন-‘ডিভোর্স সোজা নয়…’, বিচ্ছেদ ভাবনা ঘিরে ধরেছে অভিষেককে, ঐশ্বর্যর সাথে ১৭ বছরের সংসারে চিড়!
ঐশ্বর্য-অভিষেকের ডিভোর্সের জল্পনা কয়েক গুণ উসকে দিয়েছে বচ্চন পুত্রের একটা ‘লাইক’। তবে অভিষেকের সেই পোস্টে লাইক দেওয়া নিয়ে একটি ভিন্ন মত সামনে এল, যা খানিক স্বস্তির কারণ হতে পারে এই জুটির ভক্তদের জন্য।
আসল কারণটা কী?
রেডিট পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে অভিষেকের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্ক পোস্ট পছন্দ করার আসল কারণ মোটেই এমন নয় যে ডিভোর্সের ভাবনা ঘিরে ধরেছে নায়ককে। বরং ওই পোস্টের সঙ্গে ঐশ্বর্যর কাছের মানুষের কানেকশন রয়েছে। আসলে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে লম্বা আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে, তার অন্যতম লেখক ঐশ্বর্যর দীর্ঘদিনের বন্ধু জিরাক মার্কার। এমনটাই খুঁজে বার করেছে অভিষেক ভক্তরা।
যা খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে ভক্তদের। রেডিট পোস্টে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘সুতরাং বিবাহবিচ্ছেদ পোস্ট পছন্দ করার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, লোকেরা তো ভেবেই নিয়েছিল ওদের ডিভোর্স চূড়ান্ত। মন ফুরফুরে হয়ে গেল।’ আরেকজন লিখেছেন, 'অ্যা আব্বাস মাস্তানের সিনেমায় পরিণত হচ্ছে। ইটনে (অনেক) প্লট টুইস্ট। "আমিই কি একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম যিনি সর্বদা অনুভব করেছিলেন যে পোস্টটি পছন্দ করার কোনও গভীর অর্থ নেই এবং পোস্টটির জন্য কেবল সাধারণ প্রশংসা ছিল," তৃতীয় মন্তব্যটি পড়েছিল।
জিরাক মার্কার কে?
বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিশ্লেষক জিরাক মার্কার। ঐশ্বর্যর সহপাঠী তিনি। জিরাক ও তাঁর স্ত্রী প্রিয়া মার্কারকে প্রায়শই ঐশ্বরিয়া, অভিষেক এবং তাদের মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের সাথে ছুটি কাটাতে দেখা যায়। যদিও এতে সকলে আশ্বস্ত হচ্ছেন এমনটা নয়।
কী লেখা ছিল চর্চিত সেই ডিভোর্স পোস্টে?
পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘ডিভোর্স কারুর জন্য সোজা নয়। কে না চায়, আজীবন সুখে-শান্তিতে বাস করতে, কিংবা বয়স্ক দম্পতিরা যেমন হাতে হাত দিয়ে রাস্তা পার করে, তেমন স্বপ্ন দেখতে? কিন্তু আমরা যেমনটা আশা করি অনেকসময় তেমনটা হয় না। কিন্তু যখন কয়েক দশক একসঙ্গে থাকার পর আমরা আলাদা হই, সেই বিচ্ছেদ যন্ত্রণা কীভাবে সইতে পারা যায়? বড় বড়, ছোটখাটো জিনিসের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে কাটানোর পর…কোন ঘটনা তাঁদের আলাদা হতে বাধ্য করে? কোন ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়’।
সবশেষে সংযোজন, 'কাকতালীয়ভাবে, 'গ্রে ডিভোর্স' বা 'সিলভার স্প্লিটারস'—সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পরে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রবণতা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে খোঁজার শর্তগুলি—বিশ্বব্যাপী বাড়ছে…কারণগুলি, যদিও বিভিন্ন, বিস্ময়কর নয়।' জানিয়ে রাখি, ঐশ্বর্যর বয়স এখন ৫০! আর অভিষেক পা দিয়েছেন ৪৮-এ। এর জেরেই আরও দুয়ে দুয়ে চার করেন নেটিজেনরা।
২০০৭ সালের ২০শে এপ্রিল বিয়ে সেরেছিলেন অভিষেক-ঐশ্বর্য, চার বছর পর ২০১১ সালের নভেম্বরে জন্ম আরাধ্যার। মেয়েকে ঘিরেই এখন ঐশ্বর্যর গোটা জগত। মেয়ের জন্য কেরিয়ার হেলায় ছেড়েছেন নায়িকা। তবুও সংসার জীবনে সুখী হলেন না প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী!