কে হতে চলেছেন হিমাচল প্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী? দিনভর চূড়ান্ত নাটকের পরও তা ঠিক হল না। বরং দিনভর চূড়ান্ত নাটকের পর শুক্রবার রাতের দিকে হিমাচলে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব শুক্লা জানালেন, কে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেসের হাইকমান্ড।
শুক্রবার হিমাচলের রাজধানী শিমলার দফতরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম দাবিদার প্রতিভা সিং (প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী), মুকেশ অগ্নিহোত্রী এবং সুখবিন্দর সিং সুখু। তাঁদের সমর্থনে স্লোগান তোলেন অনুগামীরা। তারইমধ্যে দু'ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক চলে।
সেই বৈঠকের পর রাতের দিকে সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব জানান, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে কোনও ঝামেলা নেই। বরং তাঁরা মিলিতভাবে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দলের হাইকমান্ডের হাতে দিয়েছেন বলে জানান রাজীব। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে ৪০ জন বিধায়কই অংশগ্রহণ করেছিলেন। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে দলের হাইকমান্ডের উপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন তাঁরা।'
আরও পড়ুন: Why BJP lost Himachal Pradesh Elections: নিজেরাই নিজেদের 'শত্রু', ‘ফেল’ ব্র্যান্ড মোদী - কোন কোন কারণে হিমাচলে হারল BJP?
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার জন্য কংগ্রেসের একাধিক নেতা-নেত্রী ‘লবি’ করলেও হিমাচলে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জানান, সর্বসম্মতভাবে এক বাক্যের প্রস্তাবনা পাশ করা হয়েছে। যা শনিবার হাইকমান্ডের কাছে জমা দেবেন হিমাচলে কংগ্রেসের দুই পর্যবেক্ষক ভূপেশ বাঘেল (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) এবং ভূপিন্দর সিং হুড্ডা (হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী)। যাঁরা বিধানসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসার মধ্যেই হিমাচলে চলে আসেন এবং সাংবাদিক বৈঠকের সময় রাজীবের একপাশে বসেছিলেন। অপর পাশে বসেছিলেন প্রতিভা ও সুখু।
আরও পড়ুন: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কে? হোটেলের বাইরে প্রতিভা সিংয়ের সমর্থকদের ভিড়
সাংবাদিক বৈঠকে সেই মৈত্রীর ছবি ধরা পড়লেও নয়া মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে যে যথেষ্ট ‘লবিবাজি’ চলছে, সেই ইঙ্গিতও মিলেছে। শুক্রবার হিমাচলে কংগ্রেসের দুই পর্যবেক্ষকের গাড়ি আটকে দেন প্রতিভার অনুগামীরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী'র সমর্থনে স্লোগান তোলেন তাঁরা। যা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, হিমাচলের রাজনীতিতে এটা নতুন বিষয় নয়। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নেতার বাড়তি দাপট থাকে। তার জেরেই অনেক ক্ষেত্রে দলের অন্দরে ফাটল দেখা যায় বা একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে যায়। যে বিক্ষুব্ধে ধাক্কা এবারই সামলাতে হয়েছে বিজেপিকে।