একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সবংয়ে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল-ত্যাগী অমূল্য মাইতি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেস চিরঞ্জীব ভৌমিক।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। সবং এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল সবংয়ে ভোটগ্রহণ হবে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী মানস৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১২৬,৯৮৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্মল ঘোষ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৭,৮২০৷ কংগ্রেস প্রার্থী মানস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের নির্মল ঘোষকে ৪৯,১৬৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মানস সিপিআইএমের রামপদ সাহুকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানস সবং কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। বামপ্রার্থী তুষারকান্তি লায়াকে পরাজিত করেন। ২০০১ সালে বামপ্রার্থী তুষারকান্তি লায়া মানসকে ৩৯৭ ভোটে পরাজিত করেন। এই বিষয়টি গড়ায় আদালতের কাঠগড়ায়। কলকাতা হাইকোর্ট পুনর্নির্বাচনের আদেশ দেন। অবশ্য সেই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মানস। ১৯৯৬ সালে নির্দলের মাখনলাল বাঙ্গাল মানসকে পরাজিত করেছিলেন। মানস ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের গৌরাঙ্গ সামন্ত, ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের হরেকৃষ্ণ সামন্ত ও ১৯৮২ সালে নির্দলের হেমন্তকুমার জানাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে গৌরাঙ্গ সামন্ত জনতা পার্টির সূর্যকান্ত মহাপাত্রকে সবং আসনে পরাজিত করেছিলেন। সবং বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান হলেও ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছিল না। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের আদিত্যকুমার বাকুরা এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তাছাড়া ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের গোপালচন্দ্র দাস অধিকারী এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।