জামালপুর তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অলোককুমার মাঝি। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বলরাম ব্যাপারী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সমর হাজরা। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়।পূর্ব বর্ধমান মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়। জামালপুর বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি জামালপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং মগরা গ্রাম পঞ্চায়েত রায়না-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। জামালপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগে এই কেন্দ্রটি বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী সমর হাজরা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৫,৪৯১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৪,০৬৮৷ সিপিএম প্রার্থী সমর হাজরা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিককে ১,০২৩ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৎকালীন নির্দলের সমর হাজরা জামালপুর (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের শংকরচন্দ্র মল্লিককে পরাজিত করেছিলেন তিনি।২০০১ সালে সিপিআইএমের সমর হাজরা তৃণমূল কংগ্রেসের অজয় প্রামাণিক, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের বৈদ্যনাথ দাস ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের অজয় প্রামাণিককে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে নির্দলের সুনীল সাঁতরা কংগ্রেসের পূর্ণজয় প্রামাণিককে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের সুনীল সাঁতরা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আইসিএসের পূর্নজয় প্রামাণিককে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের পূর্ণজয় প্রামাণিক এই কেন্দ্রে জয়ী হন। ১৯৭১ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কালীপদ দাস জিতেছিলেন। তার আগে ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের বাসুদেব প্রামাণিক এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের পূর্ণজয় প্রামাণিক এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক জিতেছিলেন। এর আগে জামালপুর তফসিলি জাতি আসনটি ছিল না।