বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে দলবদলের হিড়িক। এই পরিস্থিতিতে কুলতলিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের গরহাজিরা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। আর এ নিয়ে দলের অন্দরে শুরু উঠেছে বিতর্ক। প্রতিমা মণ্ডলের দাবি, তাঁরে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। সে জন্যই তিনি যাননি। পাল্টা সওকত মোল্লার দাবি, ‘নিজে গিয়ে প্রতিমাদেবীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলাম।’এদিন বাসন্তীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘সাংসদ হিসেবে যে সামান্য সম্মানটুকু পাওয়া উচিত ছিল তা আমি পাইনি। যে আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়েছে, যত হোর্ডিং–পোস্টার পড়েছে তাতে কোথাও আমার নাম নেই। এমনকী যে আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়েছে, তাতে বিধায়ক, আয়োজকদের নাম থাকলেও আমার নাম নেই। আমি এতগুলো মানুষের একজন প্রতিনিধি তা সত্ত্বেও আমার নাম রাখা হয়নি। তাই নিজের সম্মান রক্ষার্থে আমি এদিনের সভায় যাইনি। আমি কোনও আমন্ত্রণও পাইনি।’সাংসদের আরও গুরুতর অভিযোগ, ‘২০১৬ সালে শওকত মোল্লা একবার আমাকে এক সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার পর থেকে তৃণমূল যুবর তরফে আর কখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’ যদিও এদিনের ঘটনা নিয়ে যুব তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শওকত মোল্লার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘প্রতিমা মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে আসা হয়েছিল। তার পরও তিনি আসেননি।’স্বাভাবিকভাবেই এদিনের বিশাল জনসভার এলাকার অন্যতম সাংসদের অনুপস্থিতি নজর কেড়েছে অনেকেরই। খানিক অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্য রাজনীতি মহলে ইতিমধ্যে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে যে এবার কি বেসুরো হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ?