দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই কেশপুর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা। ভোটের সময় এই বোমা ব্যবহার করার জন্যই রাখা হয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে কে বা কারা এই বোমা মজুত করে রেখেছিল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় রাতেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।বুধবার কেশপুর থানার অন্তর্গত চড়কা জামবনির জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় ১৫টি তাজা বোমা। দুটি বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। স্থানীয় মানুষজন তা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশপুর থানার পুলিশ। উপস্থিত হয় বম্ব স্কোয়াডও। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা এসে বোমাগুলি জঙ্গলেই নিষ্ক্রিয় করেন। কেন জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তার ধারে রাখা হয়েছিল বোমাগুলিকে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, যারা সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তারাই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য মজুত করেছে বোমা। পাল্টা বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষের দাবি, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে এবং এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে বোমা মজুত করেছে শাসকদল।উল্লেখ্য, নির্বাচনে হিংসার ঘটনার সাক্ষী বরাবর থেকেছে কেশবপুরবাসী। তাই এবার কেশপুরের ভোট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার কেশপুরে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৭৬টি। বুধবার থেকে প্রতিটি বুথকে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। বুধবার সন্ধ্যাতেও টহল দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।