সাংসারিক বন্ধনহীন এই নেতাদের আক্ষরিক অর্থেই আয় থাকে না। সঙ্ঘ বা পার্টি সংশ্লিষ্ট নেতার খরচ বহন করে। আর এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, হলফনামায় ২০১৬–১৭ থেকে টানা তিনটি অর্থবর্ষে কিশোর বর্মণের আয় ছিল শূন্য। তবে কার্যত ‘হোল টাইমার’ ছিলেন। ‘প্রচারক’ হিসেবে তকমা পাননি।
Ad
ত্রিপুরায় বিজেপির ভোট প্রচার। (ANI)
হিসেব মতো হাতে আর একদিন। তারপরই বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। বিজেপির তাবড় নেতা–মন্ত্রীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। তারই মধ্যে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। একদা বঙ্গ–বিজেপির প্রাক্তন ‘ফুলটাইমার’ অধুনা ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী কিশোর বর্মণ। আর তাঁকে নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চর্চার জেরেই আলোচনার কেন্দ্রে নলচর বিধানসভার এই বিজেপি প্রার্থী। এবার তিনি পেশ করেছেন হলফনামা। নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তথ্যে কিশোরবাবুর আয় এবং তার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের একাংশ বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে। তার পরই এখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে ত্রিপুরায় ঘাঁটি গাড়েন কিশোর। এখন ত্রিপুরার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তিনি। আজ, মঙ্গলবার ত্রিপুরা নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। ঠিক তার আগে এই বিজেপির নেতার আয়–ব্যয় সংক্রান্ত গরমিলের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস–সিপিএম। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।