আজ, শুক্রবার ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই উত্তর–পূর্বের রাজ্য থেকেই নানা ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী বামেদের ২৫ বছরের থেকেও ত্রিপুরার বেশি ক্ষতি করেছে বিজেপির পাঁচ বছর। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ছোট পাহাড়ি রাজ্যে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? ত্রিপুরাবাসী ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছিল। তবে ভাঁওতাবাজ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময়ও এসে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা জোট বাঁধুন। যদি ভারতীয় জনতা পার্টি আবার জেতে তাহলে রান্নার গ্যাস, পেট্রোল–ডিজেলের দাম বাড়বে। বিজেপি হারলে রান্নার গ্যাস ও পেট্রোল–ডিজেলের দাম আর বাড়বে না। বিজেপি যত হেরেছে মূল্যবৃদ্ধি তত কমেছে। বিজেপিকে হারান, দেখবেন মূল্যবৃদ্ধি কমে গিয়েছে।’
কেমন করে কমবে মূল্যবৃদ্ধি? এই নিয়ে অভিষেক একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারার পরেই ত্রিপুরায় পেট্রল–ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকার। এখানে আরও বিরোধী দল রয়েছে। কিন্তু শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের চাপের সামনে নত হয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে হারিয়ে সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব। আর ২০২২ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় মানিক সাহাকে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২ মার্চ। এই প্রথম ত্রিপুরায় লড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আর কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? শুক্রবার ত্রিপুরার কমলপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে আসেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলা এখন কত এগিয়ে গিয়েছে। আর বিজেপি শাসনে পিছিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা। সিপিএম আমলে এক জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরায়। কিন্তু তার থেকেও ক্ষতি গত ৫ বছরে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার করেছে। মানুষ বিজেপির ফাঁদে পা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে অর্থনীতি—পাঁচ বছরে সবক্ষেত্রে পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি ঠিক করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করতে দেবে না। এরা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় করে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যারা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ইডি–সিবিআই কারও কাছে মাথা নত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup