সংকটের দিনে কংগ্রেসের মান রক্ষা করতে পারে তেলাঙ্গানা। আর তেলাঙ্গানায় কংগ্রেসের এই এগিয়ে থাকার পেছনে যে নামটা সবার আগে উঠে আসছে তিনি হলেন তেলাঙ্গানা কংগ্রেস প্রধান এ রেভান্থ রেড্ডি। কার্যত তেলাঙ্গানায় খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে যিনি, তিনি আর কেউ নন, তেলাঙ্গানা কংগ্রেস প্রধান এ রেভান্থ রেড্ডি। কিন্তু কে এই রেভান্থ রেড্ডি?
রেভান্থ রেড্ডি এবার তেলাঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। বয়স ৫৪ বছর। তিনি কার্যত প্রমাণ করে দিলেন জয়ের কারিগত তিনিই।
২০০৬ সালে ZPTC মেম্বার হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক জার্নি শুরু। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
তবে আগাগোড়া যে তিনি কংগ্রেসে ছিলেন তেমনটা নয়। তিনি আগে ছিলেন তেলেগু দেশম পার্টিতে। দুবারের বিধায়ক তিনি। ২০১৭ সালে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর বিআরএসের বিরুদ্ধে জয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেসের অন্য়তম কারিগর হলেন রেড্ডি।
২০২১ সালের জুলাই মাসে তেলাঙ্গানা কংগ্রেসের প্রধানের পদ পেয়েছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। তবে এবার অত্যন্ত সুকৌশলে ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। ঠান্ডাঘরে বসে লড়াই করা নয়। মাটি কামড়ে লড়াই করার উপর জোর দিয়েচিলেন তিনি। একের পর এক পথসভা, বাড়ি বাড়ি প্রচার সবেতেই এগিয়ে ছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। আর এই পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি।
তবে রেভান্থ রেড্ডির রাজনৈতিক জার্নির পথটা যে খুব মসৃন ছিল এমনটা নয়। কংগ্রেসের অন্দরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি কিছু কম ছিল না। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি শক্তি বার বার দলের অন্দরে তাঁকে কোণঠাসা করতে উঠেপড়ে লাগে। তবুও মনোবল হারায়নি কংগ্রেস।
তেলেঙ্গানা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তেলেঙ্গানায় আমরা পা ফেলতে শুরু করেছি। তবে এটা বলতে পারি দক্ষিণভারতেও এবার বিজেপি ভালো ফল করতে শুরু করেছে।
কেসিআর-এর বিরুদ্ধে এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন রেভান্থ রেড্ডি। লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ভেঙে চলে এসেছিল তেলাঙ্গানা।
এদিকে এবার তেলাঙ্গানায় কংগ্রেসের জয় হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল এক্সিট পোল। সেই সময় রেভান্থ রেড্ডি জানিয়েছিলেন, এবার কংগ্রেস বিরাট জয় পাবে রেভান্থ রেড্ডি। এক্সিট পোলেও সেই জয়ের ছবিটাই প্রতিফলিত হয়েছিল। সেদিনই প্রশ্ন করা হয়েছিল, কংগ্রেস জয় পেলে কি আপনি মুখ্য়মন্ত্রী হবেন?
তিনি বলেছিলেন, আমি পিসিসি সভাপতি। দল যা বলবে সেটাই হবে। সবটাই একটা প্রসেসের মধ্য়ে দিয়ে যাবে।