বিহারের ভোটে বাহুবলীদের দাপটের কথা মাঝেমধ্য়েই শোনা যায়। তবে এবার লোকসভা ভোটে সরাসরি আর বাহুবলীরা নন। এবারের ভোটে দাঁড়াচ্ছেন সেই বাহুবলীদের স্ত্রীরা। আসলে এবার অঙ্কটা কিছুটা উলটে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, স্ত্রীদের সামনে রেখে ভোটে ছড়়ি ঘোরানো এই অঙ্কে এবার বিশ্বাসী বাহুবলীরা। আর সেই নিরিখে নয়া উদ্যোগ। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাহুবলীরা সরাসরি নিজেরা না দাঁড়িয়ে তাঁদের স্ত্রীদের দাঁড় করাচ্ছেন। কিন্তু আসলে যাবতীয় কলকাঠি কিন্তু নাড়ছেন স্বামীরা। তবে এটা যে কেবলমাত্র বিহারে হয় এমনটা নয়। অনেকের মতে, বাংলার একাধিক পঞ্চায়েতে দেখা যায় স্ত্রীরা পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু আসল কলকাঠিটা নাড়েন তাঁদের স্বামীরা। আসলে স্ত্রীকে সামনে রেখে আসল কাজটা করেন স্বামীরা। আর এটাই এবার দেখা যাচ্ছে বিহারের লোকসভা ভোটে। তবে বিহারে ঠিক এখন থেকে এমন প্রবণতা তেমনটা নয়। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়ার আগে ১৯৯৭ সালে লালু প্রসাদ যাদব রাবড়ি দেবীকে মুখ্য়মন্ত্রী করে জেলে চলে যান। আর এবার বিহারে দেখা যাচ্ছে আনন্দ মোহন যিনি ডন বলেই পরিচিত ছিলেন বিহারে। আর তাঁর স্ত্রী লাভলি আনন্দ এবার জেডিইউর টিকিটে দাঁড়িয়েছেন ভোটে। ১৬ বছর জেল খেটে আনন্দ মোহন গত বছর এপ্রিল মাসে জেল থেকে বের হয়েছিলেন। গোপালগঞ্জের ডিএমকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। তাঁর স্ত্রীই এবার প্রার্থী। স্ত্রী লাভলিকে প্রার্থী করে দিয়েছেন তাঁকে। অপরজন হলেন পূর্ণিয়ার ডন অবদেশ মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী বিমা ভারতী পাঁচবারের বিধায়ক তিনি এবার দাঁড়িয়েছেন পূর্ণিয়া আসন থেকে। এদিকে অবদেশের বিরুদ্ধে অন্তত ১২টি ক্রিমিনাল কেস রয়েছে। খুন, অপহরণ সবই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরের নামটি হল রমেশ খুশওয়া। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে। রমেশের স্ত্রী এবার সিওয়ান থেকে দাঁড়াচ্ছে। জেডিইউ টিকিট দিয়েছে তাঁকে। একটা সময় রমেশ সিপিআইএমএল করতেন। পরে তিনি আরজেডিতে যোগ দেন। পরে আবার জেডিইউতে ফিরে আসেন। বর্তমানে ওই আসনে এমপি রয়েছেন জেডিইউ নেত্রী কবিতা সিং। তিনি আবার অজয় সিংয়ের স্ত্রী। অজয় সিং রাজনীতিতে আসার আগে ডন বলেই পরিচিত ছিলেন। নওদা এলাকার অপর বাহুবলী অশোক মাহাতো। তাঁর স্ত্রী কুমারী অনিতা টিকিট পেয়েছেন মুঙ্গের থেকে। আর আরজেডির টিকিটে ভালোই লড়ছেন তিনি।