বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর গড়ে তৃণমূলের চমক ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকে দলের অন্দরে নানা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। প্রচারে থাকবেন না বলে বেঁকে বসেছিলেন দুই বিধায়ক। পুরমন্ত্রী গিয়ে সেই ক্ষোভ আপাতত নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। দুই বিধায়কই আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা পাঠানের প্রচারে থাকবেন। তাই স্থানীয় তৃণমূল এখন তাকিয়ে রয়েছেন কবে থেকে পাঠান প্রচার শুরু করবেন?
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৯ মার্চ মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের আসছেন পাঠান। মাঝে জেলার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তারপর ২০ মার্চ থেকে জেলা জুড়ে প্রচার শুরু করবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২০ মার্চ বেলাডাঙা এক নম্বর ব্লকে হাজির থাকবেন মেগা যোগদান সভার প্রচারে। সেই দিন যাঁরা দলে যোগ দেবেন তাঁদের হাতে পাতাকা তুলে দেবেন তৃণমূল প্রার্থী।
আরও পড়ুন। ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছে বাম দলগুলি? প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য
বহরমপুরেই থাকার ব্যবস্থা
বহরমপুর শহরে প্রাক্তন ক্রিকেটারের থাকা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কোথায় ব্যবস্থা করা হয়েছে তা নিরাপত্তা কারণে প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না তৃণমূল। ভোট না হওয়া পর্যন্ত আপাতত সেখানেই থাকবেন তিনি। জিতলে বহরমপুরে তার পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রচারে একাট্টা তৃণমূল
ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে বহরমপুরের প্রার্থী হিসাবে ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল একাংশ। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তো জানিয়েই দেন তিনি নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়াবেন। একই ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হরিহর পাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠে নামেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দুই বিধায়ককে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তারপরই বরফ গলে। পাঠানের হয়ে পাচারে রাজি হন তাঁরা। তার পর থেকে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন কবে পাঠান প্রচারে আসবেন? অবশেষে দিনক্ষণ সামনে আসায় আশ্বস্ত তৃণমূল কর্মীরা।