মানুষের রায়দানের বাকি আর তিনদিন। রাজার শহর কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়। পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি আছে ভিতরে। আর সীমান্তবর্তী জেলার সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে আছে মানুষের নানা মত। এখানে এখন দুই প্রভাবশালী শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিশীথ প্রামাণিক–জগদীশ বসুনিয়া। প্রথম দফার নির্বাচনে বাংলার তিন আসনেই বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। তবে পাখির চোখ কোচবিহার। ভোট রয়েছে, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও। ভোটগ্রহণ পর্বের দিন অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল সেখানেই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক রাখছে নির্বাচন কমিশন।
এই লোকসভা কেন্দ্রে (কোচবিহার) রাজবংশীদের ভোট যেদিকে যাবে, কোচবিহারে জিতবে সেই। এমন একটা সমীকরণ এখানে হয়ে রয়েছে। আর এই রাজবংশী সম্প্রদায়কে কাছে টানতে কোনও খামতি নেই যুযুধান দুই শিবিরের। রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে এবং অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিজেপি। সেখানে রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভাষা থেকে সংস্কৃতির জন্য নানা উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান দিয়ে জনসমর্থন চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও স্থানীয় মানুষজন বলছেন, শেষ পাঁচ বছরে হদিশ মেলেনি নিশীথ প্রামাণিকের। নিজের সাংসদ এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। কাজ করা তো দূরের কথা।
আরও পড়ুন: প্রচারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মিঠুন–টিগ্গা, ব়্যালি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হলেন নেতারা
আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব আছে এখানে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের দু’দিন আগে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে থাকবেন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপর ভোটগ্রহণ পর্বের দিন কোচবিহারে থাকবেন তাঁরা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। এই কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের পরেশচন্দ্র অধিকারীকে হারিয়েছিলেন তিনি। এমনকী একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র দখলে রাখতে সফল হয়েছিল বিজেপি। শুধু সিতাই এবং দিনহাটা কেন্দ্র পায় তৃণমূল কংগ্রেস।