লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু বাকি শরিকদের সমর্থনে এনডিএ সরকার গড়ে উঠবে। এটা সত্যিই প্রকৃত এনডিএ সরকার। কারণ বিজেপি এখন সংখ্যালঘু। এই আবহে বাংলার দিকে তাকালে বিজেপি জিতেছে ১২টি আসন। আগের বারের থেকে ৬টি আসন কমেছে। আর এই আবহে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ডেকে পাঠানো হল নয়াদিল্লিতে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদেরকে ফোন করে ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিকে যে ১২জন সাংসদ জয়ী হয়েছেন তাঁদেরকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। নয়াদিল্লির পার্টি অফিসে সকলকে নিয়ে বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। এই পরাজয়ের কাটাছেঁড়াও করা হতে পারে। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন থেকে এবার ৩০টি আসনের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মিলেছে ১২টি। শুভেন্দু–সুকান্তর রণকৌশলেই এবার বিজেপি বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। আর তাতে ৬টি আসন কমে গিয়েছে। এর জবাব তাঁদের দিতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর কাছে। আর যাঁরা জয়ী হয়েছেন তাঁদের আগামী দিনে কোন পথে চলতে হবে তাও বাতলে দেবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলে সূত্রের খবর। তবে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সেটি হল, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা থেকে মন্ত্রী হতে পারেন। কারণ তাঁকে তেমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বর্ধমান–দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব আসনে হারের পিছনে কি অন্তর্ঘাত? বিজেপির অন্দরে চর্চা
অন্যদিকে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে বৈঠক। জয়ী প্রার্থীদের এবং দুই নেতাকে নিয়ে এই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এক্ষেত্রে সুকান্ত মজুমদারও জয়ী সাংসদ। বালুরঘাট থেকে জিতেছেন। বাংলার জয়ী প্রার্থীদের বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকলকে নয়াদিল্লিতে পৌঁছতে বলা হয়েছে। তবে বাংলার জয়ী প্রার্থীদের পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। ইতিমধ্যেই সমালোচড়ার ঝড় তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বর্ধমান–দুর্গাপুর আসনে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাতেই হার বলে মনে করেন তিনি। এমনকী নেপথ্যে রয়েছে চক্রান্ত ও কাঠিবাজি বলে দাবি দিলীপের।
এছাড়া কেন ৬টি আসন কমল? কেন লক্ষ্যে পৌঁছনো গেল না? কোথায় গলদ ছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও এসব নিয়ে কথা হবে না বলে বঙ্গ–বিজেপি সূত্রে খবর। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আগামী ৭ তারিখ নয়াদিল্লিতে সকলে মিলে বসব। সেখানে রাজ্যসভা এবং লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে রাজ্যের বিধানসভার নেতাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা যাবেন। আমাদের এখান থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও যাওয়ার কথা রয়েছে।’ যোগী আদিত্যনাথও যাচ্ছেন বলে খবর।