আজ, বুধবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সভা থেকে কংগ্রেস–সিপিএমকে তুলোধনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কংগ্রেস–সিপিএম যে বিজেপির বি–টিম হয়ে কাজ করছে সে কথা তুলে ধরেন তিনি। এমনকী নাম না করে মহম্মদ সেলিমকে পরিযায়ী রাজনীতিবিদ বলে তোপ দাগেন অভিষেক। সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি। কিন্তু বাংলায় সেই জোট হতে দেয়নি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলে দায়ী করেন অভিষেক।
এদিকে কংগ্রেস বাংলায় বিজেপির বি–টিম হিসাবে কাজ করছে বলে তুলোধনা করেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাই কংগ্রেস–সিপিএমকে একটি ভোটও না দিতে জনগণকে আহ্বান করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে মহারাষ্ট্রে, কর্নাটক, বিহারে এবং নয়াদিল্লিতে পরিকল্পনা করছিলেন বিজেপিকে দেশ থেকে হটানোর। তাঁরা বলে ছিলেন, আগামী দিনে বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে তৃণমূলকে পাশে দরকার রয়েছে। সেখানে বাংলায় কংগ্রেসের ব্রাঞ্চ অফিসের ম্যানেজার অধীররঞ্জন চৌধুরী একইদিনে মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে ধূপগুড়িতে সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল এবং আমার বাপ–বাপান্ত করছে।’
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিপত্তিতে ফেলেছে নির্বাচন কমিশনকে, পাহারাদার ‘এআই’ কি ভিলেন?
অন্যদিকে এভাবেই কংগ্রেস আসলে বিজেপির হাত শক্তিশালী করছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কংগ্রেসকে এখানে কোনও ভোট দেবেন না। আর সিপিএমকে তো নয়ই বলে মানুষকে অনুরোধ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেকের বক্তব্য, ‘কার হাত শক্তিশালী করছে কংগ্রেস? কার হাত শক্তিশালী করছে এই সিপিএম? আপনারা জানেন, এই পরিযায়ী নেতা একবার দাঁড়ায় রায়গঞ্জে, একবার দাঁড়ায় উত্তর কলকাতায়, আর একবার দাঁড়ায় মুর্শিদাবাদে। গতবার আপনারা খলিলুর সাহেবকে আড়াই লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী, সিপিএম প্রার্থী তিন লাখ ভোট কেটে বিজেপিকে সুযোগ করে দিতে চেয়েছিল। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়।’