লোকসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিপুল জয়ের পূর্বাভাস দিতেই গণনা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই আশঙ্কার অবসান করতে রবিবার বিকেলে দলের ৪২ জন প্রার্থী ও শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে দলের নেতাদের একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী গণনাকেন্দ্র থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে পারলে পুরস্কারেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - ছাপ্পার অভিযোগ প্রতিকুরের, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে শুভেন্দুর দাবি আরও ভয়ানক
পড়তে থাকুন - মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই TMCর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মৃত্যু হয়: অমিত মালব্য
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের আভাসে রাজ্যের বহু জায়গায় তৃণমূলের নেতা কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে যেতে চাইছেন না বলে সূত্রের খবর। তারই মধ্যে বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, হাল ছাড়লে চলবে না।
এদিন দলীয় নেতাদের অভিষেক বলেন, প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত এজেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। গণনা প্রক্রিয়া ঠিক মতো চলছে কি না তা দেখতে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন, গণনাকেন্দ্রে লোক জোগাড় করতে হবে জেলার নেতাদেরই।
দলের নেতাদের মনোবল বাড়াতে অভিষেক বলেন, শেষ ইভিএম গণনা না হওয়া পর্যন্ত গণনাকেন্দ্র ছাড়লে চলবে। নন্দীগ্রামের ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেখানে আমাদের কর্মীরা জয় নিশ্চিত ভেবে গণনাকেন্দ্র ছাড়তেই কারচুপি হয়েছে। আমরা তার অভিযোগও দায়ের করেছি।
অভিষেক বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে যারা কাউন্টিং এজেন্ট হবেন তাদের নিয়ে সোমবার বৈঠক করতে হবে প্রার্থীদের। গোটা দায়িত্বটা তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। কোনও কারণে উত্তেজিত বা বিমর্ষ হওয়া যাবে না। কোনও টেবিলে দলীয় প্রার্থী পিছিয়ে পড়লে কাউন্টিং এজেন্ট যেন ভেঙে না পড়েন।
আরও পড়ুন - ৩০ দূর অস্ত, বাংলায় কত আসন পেতে পারে বিজেপি, ভোট শেষ হতেই ফাঁস করলেন খোদ সুকান্ত
অভিষেক বলেন, প্রায় প্রতিবারই আমরা বুথ ফেরত সমীক্ষার থেকে ভালো ফল করেছি। ২০১৪ সালে আমরা ৩৪টা আসন পেয়েছিলাম। যা বুথফেরত সমীক্ষার থেকে অনেক বেশি ছিল। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বুথফেরত সমীক্ষাও মেলেনি। ফলে বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ফল বলে ভেবে নিলে চলবে না।
মঙ্গলবার ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তাতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২০ – ৩১টি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা।