কোচবিহারে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। একদিকে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। আর তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি আবার জেলার রাজনীতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমানে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। আর সেই জগদীশকে জেতাতে মরিয়া রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। আর সেই লড়াইতে নেমে এবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়ে দিলেন নিশীথ প্রামাণিককে না হারানো পর্যন্ত নিরামিষ খাব। আমিষ খাব না। আর এই পণের কথা শুনে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আর মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আমিষ খাওয়া হল না।নিশীথ প্রামাণিক। একটা সময় তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। আর তখনও রবি ঘোষের সঙ্গে তাঁর বনিবনা ছিল না। আর এবার ফের তিনি বিজেপি প্রার্থী। অন্য়দিকে পার্থপ্রতীম রায়কে প্রার্থী না করে জগদীশকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এতে স্বস্তিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেই সঙ্গেই নিশীথ প্রামাণিককে হারাতে তিনি একেবারে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছেন।রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে কোচবিহারের মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। কোচবিহারের মানুষকে ঠকিয়েছে। ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়েছে। ওকে এবার হারাবই হারাব। সারা কোচবিহারবাসী একেবারে অপেক্ষা করে রয়েছে কবে সেই দিনটা আসবে। সেই দিনটার জন্য় অপেক্ষা করছেন তারা। আমি নিশীথ প্রামাণিককে ভোটে হারিয়ে তবেই আমিষ খাব। লোকসভা ভোট পর্যন্ত নিরামিষ খাব। তারপর তাকে হারিয়ে আমি আমিষ খাব। তার আগে আমি আমিষ খাব না। সাফ জানিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। একেবারে নিরামিষ পণ।আর প্রাক্তন মন্ত্রীর এই পণের কথা শুনে বিজেপি নেতৃত্ব রীতিমতো কটাক্ষ করছেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি. তাহলে আর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের আমিষ খাওয়া হল না কোনওদিন।এদিকে সংবাদমাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, এটা দলের সঙ্গে কোনও ব্যাপার নয়। তবে নিশীথ প্রামাণিককে না হারানো পর্যন্ত আমিষ খাব না। একেবারে নিরামিষ পণের কথা জানিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই।জোরকদমে চলছে প্রচার। বাসিন্দাদের একাংশের মতে, গত পাঁচ বছরে সাংসদ এলাকায় কতটা সময় দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এলাকার নানা অনুন্নয়ন নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আবার অন্য়দিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। সেই নিরিখে লড়াই এবার একেবারে হাড্ডাহাড্ডি। তবে তার মধ্য়ে এই নিরামিষ পণ যেন সেই লড়াইকে অন্য মাত্রা দিল।