গোরখপুর লোকসভা কেন্দ্রটি উত্তরপ্রদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্র। যোগী আদিত্যনাথের গড় বলে পরিচিত গোরখপুর কেন্দ্রটিতে সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে রবি কিষান জয়ী হন। মোট পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র কাইম্পিয়ারগঞ্জ, পিপ্রাইচ, গোরখপুর আর্বান, গোরখপুর রুরাল ও সাহাজানওয়া নিয়ে গোরখপুর লোকসভা কেন্দ্র গঠিত৷ ১৯৫২ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই এই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গোরক্ষনাথ মঠ এই অঞ্চলের রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ঐতিহাসিকভাবে বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। ১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সিংহাসন সিং সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৭ এবং ১৯৬২ লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যথাক্রমে মহাদেও প্রসাদ এবং সিংহাসন সিংহ জয়ী হন এই কেন্দ্র থেকে।
২০২৪-র ভোটে ফের বিজেপির হয়ে এই আসন থেকে লড়ছেন প্রখ্যাত সিনেমা স্টার রবি কিষান। তাঁর বিরুদ্ধে আছেন এসপি-র কাজল নিশাদ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রবির জয় নিয়ে কার্যত কোনও সন্দেহ নেই। কত মার্জিনে তিনি জিততে পারেন, সেটাই একমাত্র প্রশ্ন। এটি কার্যত যোগী গড়, ফলে মুখ্যমন্ত্রী চাইবেন যে তাঁর দলের প্রার্থী বড় মার্জিনে জেতেন এখান থেকে। সপ্তম দফায় পয়লা জুন এখানে ভোটগ্রহণ হবে।
১৯৬৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহন্ত দিগ্বিজয়নাথ ও ১৯৭০ সালে মহন্ত অভেদ্যনাথ নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। মধ্যবর্তী সময় জাতীয় কংগ্রেস ফের জয়লাভ করলেও ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে হরিকেশ বাহাদুরি জনতা দলের পক্ষ থেকে জয়ী হন। ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে মদন পাণ্ডে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন গোরখপুর কেন্দ্রে। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে মহন্ত অভেদ্যনাথ ফের একবার সাংসদ নির্বাচিত হন, তবে এবার তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে না হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে জয়ী হন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬-এর লোকসভাতেও মহন্ত অভেদ্যনাথ এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির টিকিটে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মোট পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনে যোগী আদিত্যনাথ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ উপনির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী প্রবীর নিষাদ জয়ী হলেও ২০১৯ এর লোকসভায় ফের বিজেপির পক্ষ থেকে রবি কিষান এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। রবি কিষান ৬০.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেম, যেখানে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী রাম নিষাদ ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।