২০১৯ সালে গৌতম গম্ভীরকে পূর্ব দিল্লি আসন থেকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। গতবার এই আসন থেকে প্রায় ৪ লাখের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। এই আসনে গৌমতেম নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের অরবিন্দর সিং লাভলি। গৌতম পেয়েছিলেন ৫৫ শতাংশ ভোট।
গৌতম গম্ভীর
শুরু হতে চলেছে আইপিএল। এই বছর নিজের পুরনো দল কেকেআর-এ ফিরছেন গৌতম গম্ভীর। গত কয়েক মরশুম লখনউ সুপারজায়ান্টের মেন্টর ছিলেন গৌতম। তবে এই বছর তিনি কেকেআর-এর মেন্টর। তবে এই বছরই আবার লোকসভা নির্বাচন। তাহলে তো গৌতম প্রার্থী হলে তাঁকে প্রচারেই ব্যস্ত থাকতে হবে। সেই আবহে কেকেআর-এর মেন্টর হিসেবে নিজের দায়িত্ব কি পালন করতে পারবেন তিনি... এই প্রশ্নই ঘুরছিল অনেক কেকেআর সমর্থকদের মনে। এই আবহে এবার লোকসভা আসনে প্রার্থী না ইচ্ছে প্রকাশ করলেন গৌতম গম্ভীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা পোস্ট করে এই বিস্ফোরণ ঘটান প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। (আরও পড়ুন: 'অস্বস্তির' নাম সন্দেশখালি, শাহজাহান কাঁটায় কি বসিরহাট লোকসভা আসনে হারবে তৃণমূল?)
আজ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গৌতম লেখেন, 'আমি দলের মাননীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে অনুরোধ করেছি যাতে আমাকে আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ক্রিকেট বিষয়ক আমার কমিটমেন্ট যাতে আমি রক্ষা করতে পারি এবং সেগুলির ওপরে যাতে আমি ফোকাস করতে পারি, তার জন্যেই এই অনুরোধ। আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জয় হিন্দ!'
উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে চিরকালই আক্রমণাত্মক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এদিকে বিভিন্ন সময়ে ধারাভাষ্য এবং ক্রিকেট কোচিং করানোর জন্য রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পালটা 'ট্রোল' হয়েছেন গম্ভীর। এই আবহে লোকসভা ভোটে প্রার্থী না হয়ে আইপিএলে মন দিতে চাইছেন গৌতম গম্ভীর। তবে তিনি এটা স্পষ্ট করেননি যে তিনি পুরোপুরি রাজনীতি ছাড়ছেন কি না।