মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে চিরকালই আক্রমণাত্মক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিকে অধীরকে বারবারই 'বিজেপির এজেন্ট' বলে আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন মমতা এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। এই সবের মাঝেই ইন্ডিয়া ব্লকের সঙ্গে মমতার 'সম্পর্ক' নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল নেত্রীরই এক মন্তব্যে। এরপরই অধীর চৌধুরী ফের একবার মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, 'মমতাকে বিশ্বাস করা যায় না।' এহেন পরিস্থিতিতে অধীর ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর এরপরই এবার অধীর চৌধুরীকে দল বদলের 'আহ্বান' জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। (আরও পড়ুন: 'অনেক বাড়বে', সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ভোটের মাঝে ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় পড়ল বাজ, খুশির খবর শুনিয়েও নির্দেশিকা বাতিল ভোটের মাঝে
শনিবার প্রচারের সময় এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'অধীরদা-কে এটাই বলব, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি লড়াই করতে চান, তাহলে উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিন। আপনি যে বাড়িতে আছেন, তাতে বিভীষণ বেশি। বিভীষণদের বাড়ি ছাড়ুন। রামের বাড়িতে আসুন।' উল্লেখ্য, এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো একটি বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, অধীর চৌধুরী জুন মাসে বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে অধীর চৌধুরীকে ভাইরাল হওয়া সেই বার্তার কোনও সত্যতা নেই। তবে মল্লিকার্জুন খাড়গের 'হুঁশিয়ারির' পর অধীর নিজে পালটা জবাব দিয়েছেন।
এর আগে অধীর চৌধুরীকে কড়া বার্তা দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মমতা ইস্যুতে বলেন, 'অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্ত নেবেন না, সিদ্ধান্ত আমরা নেব, কংগ্রেস পার্টি নেবে। হাইকমান্ড আমরা, আমরা যা বলব তা মানতে হবে, না মানলে বেরিয়ে যেতে হবে।' পাশাপাশি মমতার ইন্ডিয়া ব্লকে থাকা নিয়ে খাড়গে বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বলেছিলেন, আর বাইরে থেকে সমর্থন কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রথমে ইউপিএ সরকারে বামেরাও বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল। পরে অবশ্য মমতার এও বলেছেন, যে তিনি ইন্ডিয়া ব্লতেই আছেন আর সরকার গঠন হলে তিনি তাতে শামিল হবেন।'
এদিকে খাড়গের হুঁশিয়ারির পরে বহরমপুরে কংগ্রেসের দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বলেন, 'কংগ্রেসকে কেউ খতম করবে, আমি তাঁকে খাতির করব তা তো হতে পারে না। দলের সৈনিক হিসাবে এই লড়াই আমি থামাতে পারব না। তিনি জানিয়ে দেন, আমার বিরোধিতা নৈতিক বিরোধিতা। আমার বিরোধিতায় কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। পশ্চিমবঙ্গে আমার পার্টি রক্ষা করার লড়াই করছি।'