বীরেন্দ্র সিং এদিন রাজধানী দিল্লিতে দলের সদর দফতরে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, পবন খেদা এবং অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। বীরেন্দ্র সিংয়ের ছেলে এবং হিসারের সাংসদ ব্রজেন্দ্র সিং আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
কংগ্রেসে যোগদান করলেন বীরেন্দ্র সিং।
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হরিয়ানায় বড় ধাক্কা বিজেপিতে। প্রায় এক দশক পর সস্ত্রীক কংগ্রেসে ফিরলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরী বীরেন্দ্র সিং। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি কেন্দ্রীয় ইস্পাত ও গ্রাম উন্নয়ন-পঞ্চায়েত মন্ত্রী ছিলেন। সোমবারই তিনি বিজেপি ছাড়েন। এরপর মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্ত্রী প্রেমলতা সিং। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি বলেন, ‘এটা শুধু ঘরওয়াপসি নয়, এটা হল মতাদর্শের প্রত্যাবর্তন।’
বীরেন্দ্র সিং এদিন রাজধানী দিল্লিতে দলের সদর দফতরে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, পবন খেদা এবং অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। বীরেন্দ্র সিংয়ের ছেলে এবং হিসারের সাংসদ ব্রজেন্দ্র সিং আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আর এবার পরিবারের বাকি দুই সদস্যও যোগ দিলেন কংগ্রেসে।
যোগদানের পর জাঠ নেতা বীরেন্দ্র বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কেন আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি? তাহলে আমি বলব এটা শুধু ঘরওয়াপাসী নয়, আদর্শের প্রত্যাবর্তনও বটে। আমি এটা বলছি কারণ আমি আমার বিশ্বাস অনুসরণ করে চলি।’
এরপরেই তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে প্রত্যেক মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমি ১০ বছর ধরে বিজেপিতে ছিলাম। কিন্তু, আমি এখানে তাদের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলব না। এই ধরনের রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। যখন আমার মনে হয়েছে কংগ্রেসে গিয়ে আমার মতামত প্রকাশ করা উচিত তখন আমি জয়রাম রমেশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার ঘরে ফেরা অবশ্যই আদর্শের প্রত্যাবর্তন।’ বিজেপিকে আরও নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আমরা হরিয়ানার জনগণকে সমর্থন করেছি। ১০ বছরে হরিয়ানায় বিজেপি কাউকে নিজের করেনি।’