২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হল ১৩ মে। ভোট গণনা ঘিরে সমস্ত লাইভ আপডেট এদিন ছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার পেজ-এ। এদিকে, ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে সকাল থেকেই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। শনিবার বেলা গড়াতেই দেখা যায়, ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছে দল। এই রাজ্যের ১৩৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ৬৪টি আসন। জেডিএস জিতেছে ২০ আসনে। এরপর কংগ্রেসের জয়ী বিধায়কদের প্রথম বৈঠক আয়োজিত হবে রবিবার বিকেল ৫.৩০ মিনিটে। তারপরই মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত আসবে।
কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়কদের বৈঠক রবিবার বিকেল ৫.৩০ তে
বিজেপি নেতা সিটি রবি বলছেন, 'হার হয়েছে, তবে মৃত্যু নয়'
‘অহংকার বেশিদিন টেকে না’ বললেন খাড়গে
খাড়গের কণ্ঠে ‘বিজেপি মুক্ত দক্ষিণ ভারতের ডাক’
‘হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে জয়’, বললেন একে অ্যান্টনি
‘কর্ণাটক গণতন্ত্রের গণতন্ত্রের আলো দেখিয়েছে ’, বললেন সুরজেওয়ালা
‘উনি মুখ্যমন্ত্রী হলে খুব খুশি হব’, ডিকে শিবকুমারকে নিয়ে বললেন ডিকে শিবকুমারের ভাই
শেষ ৩৪ বছরে কংগ্রেসের সবচেয়ে বেশি ভোট শেয়ার
'নরেন্দ্র মোদীর অধীন বিজেপি কর্ণাটকের উন্নয়নের জন্য লড়বে', বললেন অমিত শাহ
কর্ণাটক ভোট নিয়ে অমিত শাহের বার্তা
জয়ী ইয়েদুরাপ্পার ছেলে
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিওয়াই বিজয়েন্দ্র জিতলেন শিকারিপুরা আসন থেকে। এটি শিবমোগ্গা জেলায় অবস্থিত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন জেডিএস-এর সুধাকর শেট্টি এবং কংগ্রেসের এসবি নাগরাজ গৌড়া। বিজয়েন্দ্র এই আসন থেকে ১১ হাজার ৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
হারলেন কুমারস্বামীর ছেলে
হারলেন কুমারস্বামীর ছেলে। ২০১৯ সালে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামীর ছেলে তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়ার নাতি নিখিল। তবে বিজেপি সমর্থিত নির্দলের কাছে হেরেছিলেন। এবার ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ১০ হাজার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেন তিনি।
নিজের গড় থেকেই ৫৯২৬ ভোটে হার বিজেপি হেভিওয়েট সিটি রবির
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি হেরে গেলেন। তিনি চিকমাগলুর থেকে লড়ছিলেন। এর আগে এই আসন থেকে চারবারের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তিনি নিজের গড় থেকেই ৫৯২৬ ভোটে হারলেন। এই আসনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী।
জয়ী খাড়গে জুনিয়র
জয়ী খাড়গে জুনিয়র। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে এবার লড়ছেন বিজেপির মণিকান্ত রাঠোর এবং জেডিএস-এর সুভাষচন্দ্র রাঠোরের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে এই আসন থেকেই নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্ক। তবে সেই ব্যবধান ছিল মাত্র ৪ হাজার। এবারের নির্বাচনে ১৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন প্রিয়াঙ্ক।
শিবির পালটেও হার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের
শিবির পালটেও হার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারের। উত্তর কর্ণাটকের আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জগদীশ শেট্টার। বিজেপির লিঙ্গায়েত নেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই জগদীশই এবার টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রাল থেকে ৩৪ হাজার ভোটে হেরেছেন।
‘নজর ঘোরানোর রাজনীতি আর কাজে দেবে না’, বললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
কর্ণাটকের ফল নিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমি কর্ণাটকের জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাঁরা রাজ্য জুড়ে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন যে জনগণ এমন রাজনীতি চায় যাতে তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে, তাঁরা এমন রাজনীতি চান, যেখানে তাঁদের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে... কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশের লোকেরা প্রমাণ করেছে যে নজর ঘোরানোর রাজনীতি আর কাজ করবে না...’
মাথা পেতে কর্ণাটকের ফল মানলেন মোদী
কর্ণাটক নির্বাচন নিয়ে টুইট মোদীর, মাথা পেতে মানলেন ফলাফল। টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, ‘কর্ণাটক নির্বাচনে যাঁরা আমাদের সমর্থন করেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিজেপি কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমেরও প্রশংসা করতে চাই। আমরা আগামী দিনে আরও জোরালোভাবে কর্ণাটকের সেবা করব।’ এরপর কংগ্রেসের উদ্দেশে তিনি লিখলেন, ‘কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য কংগ্রেসকে অভিনন্দন। জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে তাদের প্রতি আমার শুভকামনা।’
১ লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী ডিকে শিবকুমার
১ লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী ডিকে শিবকুমার। কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হন কনকপুরা থেকে। তবে তাতে অনায়াসে জয়লাভ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির ভোক্কালিগা 'মুখ' আর অশোক। শিবকুমার নিজেও ভোক্কালিগা। এর আগে এই কনকপুরা আসন থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শিবকুমার। তিনি ১ লাখ ২২ হাজার ৩৯২ ভোটে জয়ী এই আসন থেকে।
কর্ণাটকে জিতল কংগ্রেস, নামও নিলেন না মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: পরিবর্তনের পক্ষে জনমত প্রদানের জন্য কর্ণাটকের মানুষকে স্যালুট করছি। নিষ্ঠুর একনায়কতন্ত্র ও সংখ্যাগরিষ্ঠতার রাজনীতি পরাজিত হল। যখন মানুষ বহুত্ববাদী এবং গণতান্ত্রিক শক্তিকে জয়ী করতে চান, তখন কোনও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা তাঁদের দমিয়ে দিতে পারে না। এটাই আজকের মোদ্দা কথা ও আগামিদিনের শিক্ষা।
জয় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর, বাকি হেভিওয়েটরা কেমন ফল করলেন?
কর্ণাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ২০০৮ সাল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন এই আসন থেকে। এবার চতুর্থবারের জন্য এই আসনে জিততে চাইছেন তিনি। বোম্মাই কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ ইউসুফ সাভানুরের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি এই আসনে ৩৫ হাজার ৯৭৮ ভোটে জেতেন। এছাড়াও আরও যে যে হেভিওয়েটরা ভোটে লড়েছেন দেখে নিন তারা কেমন ফল করলেন - ক্লিক করুন এখানে
‘কর্ণাটকে হিংসার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে’
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কর্ণাটকে হিংসার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে।’
গতবারের তুলনায় ৪০টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি
বিজেপি এখনও জয়ী হয়েছে ১০টি আসনে। তাছাড়া ৫৪টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। ভোটের নিরিখে তারা ৩৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে এখনও পর্যন্ত। গতবারের তুলনায় তা মাত্র ১ শতাংশ কম। তবে আসনের নিরিখে তা গতবারের তুলনায় ৪০ কম।
২২টি আসনে জয়ী কংগ্রেস
ক্রমেই আরও আসন বাড়ছে কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে হাত শিবির। সঙ্গে ১১৩টি আসনে এখনও এগিয়ে কংগ্রেস। অর্থাৎ, মোট ১৩৫টি আসনে জয়ী বা এগিয়ে শতাব্দী প্রাচীন দল।
বিধায়কদের বৈঠক হবে আগামিকাল
কংগ্রেসের জয়ী বিধায়কদের অবিলম্বে জয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে বেঙ্গালুরু আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে আগামিকাল জয়ী বিধায়কদের বৈঠক হতে পারে। এর জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচতারা হোটেলে ঘর বুক করা হয়ে গিয়েছে।
কেঁদে ফেলেন কংগ্রেসের শিবকুমার
কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের শ্রেয় সিদ্দারামাইয়া সহ কংগ্রেসের সকল পদাধিকারী এবং কর্মীদের দিলেন প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার। পাশাপাশি তিনি যখন কারাগারে ছিলেন, তখন সোনিয়া গান্ধী তাঁর সঙ্গে যে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সে কথা মনে করিয়ে ক্যামেরার সামনেই কেঁদে দেন ডিকে শিবকুমার। ভিডিয়ো দেখুন এখানে
১০০০ ভোটেরও কম ব্যবধান রয়েছে ১৫টি আসনে
১০০০ ভোটেরও কম ব্যবধান রয়েছে ১৫টি আসনে। এর মধ্যে ৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ৩টি এগিয়ে কংগ্রেস।
প্রথম আসন জিতল কংগ্রেস
প্রথম আসন জিতল কংগ্রেস। চল্লাকেরে আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় ১৬ হাজার ভোটে জিতেছে। এই আসনে বিজেপি তৃতীয় স্থানে।
বাসবরাজ বোম্মাই কার্যত হার মেনে নিলেন
বিজেপির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই কার্যত হার মেনে নিলেন। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে আত্মবিশ্লেষণ করে ফাঁক মেটাতে হবে। তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ ফল এলে আমরা খতিয়ে দেখব যে কোথায় আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমরা এই ফলের বিশ্লেষণ করে আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসব।’
৮০০ ভোটে পিছিয়ে সিটি রবি
চিকমাগালুর থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি পিছিয়ে মাত্র ৮০০ ভোটে।
দু'টি আসনে ভোটের ব্যবধান মাত্র ১০০
বেশ কয়েকটি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০০-এরও কম। এর মধ্যে দু'টি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০-র কিছু বেশি। এর মধ্যে একটিতে এগিয়ে কংগ্রেস, অপরটিতে বিজেপি।
৮ জন মন্ত্রী পিছিয়ে
কর্ণাটকের বিদায়ী বিজেপি সরকারের ৮ জন মন্ত্রী নিজেদের আসন থেকে পিছিয়ে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও এগিয়ে চলেছে কংগ্রেস
কংগ্রেস এখন ১১৯টি আসনে এগিয়ে কর্ণাটকে। বিজেপি ৭৫-এ দাঁড়িয়ে। এদিকে জেডিএস-এর আসন সংখ্যা কমে ২৩-এ গিয়ে ঠেকেছে।
চলতি শতাব্দীতে কংগ্রেসের নয়া রেকর্ড কর্ণাটকে
জনতা দল ভেঙে জেডিএস তৈরি হয় ১৯৯৯ সালে। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল জনতা দল সেকুলার। এরপরের নির্বাচন থেকেই আর কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেনি। বিস্তারিত পড়ুন এখানে
কীভাবে কংগ্রেস বাজিমাত করল কর্ণাটকে?
সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্ণাটকের প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, ১১৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। এই রাজ্যে ম্যাজিক ফিগার ১১৩টি আসনে। এদিকে দেখা গিয়েছে, গতবারের ১০৪টি আসনের থেকে এবার অনেকটাই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। তবে ভোট শতাংশের নিরিখে আগের বারের হার ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। তাহলে কীভাবে কংগ্রেস এগিয়ে গেল? জানতে ক্লিক করুন এখানে
কংগ্রেস ১১৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে
কংগ্রেস ১১৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কর্ণাটকে। জেডিএস এগিয়ে ২৫টি আসনে। বিজেপি আপাতত এগিয়ে ৭৩টি আসনে।
ম্যাজিক ফিগার পার করল কংগ্রেস
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১১৪টি আসনে এগিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। এই শতাব্দীতে এই প্রথম কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে কোনও দল।
৫৩টি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০০-এরও কম
কর্ণাটকের ৫৩টি আসনে ভোটের ব্যবধান ১০০০-এরও কম। এই আবহে ‘অপারেশন লোটাস’ থেকে জয়ী বিধায়কদের বাঁচাতে, কর্ণাটকের আটটি অঞ্চলে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দিয়েছে হাই কমান্ড। জয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে সেই হেলিকপ্টারে চাপতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের।
হায়দরাবাদ-কর্ণাটকেও অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস
হায়দরাবাদ-কর্ণাটকেও অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চলে কংগ্রেস এগিয়ে ২৩টি আসনে। ১১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলে জেডিএস খাতা খুলতে পারে।
মধ্য কর্ণাটকেও এগিয়ে কংগ্রেস
মধ্য কর্ণাটকেও এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চলে ৭টি আসনে বিজেপি এগিয়ে। ১১টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
উত্তর কর্ণাটকে বিজেপি অনেকটাই জমি হারিয়েছে
উত্তর কর্ণাটকে বিজেপি অনেকটাই জমি হারিয়েছে। এই অঞ্চলে ৩২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে মাত্র ১৭টি আসনে।
উপকূলীয় কর্ণাটকে এগিয়ে বিজেপি
উপকূলীয় কর্ণাটকে এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলে ১৪টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ৫টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। এই অঞ্চল থেকেই সূচনা হয়েছিল হিজাব বিতর্কের।
বেঙ্গালুরু এলাকায় এগিয়ে বিজেপি
কর্ণাটকে সার্বিক ভাবে পিছিয়ে পড়লেও বেঙ্গালুরু এলাকায় এগিয়ে বিজেপি। এই অঞ্চলের ১৯টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। আটটি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। জেডিএস আগিয়ে মাত্র ১টি আসনে।
মাইসোর অঞ্চলে কংগ্রেস এগিয়ে অনেকটাই
দক্ষিণ কর্ণাটক বা মাইসোর এলাকায় বিজেপি সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। এই অঞ্চলে মাত্র ৪টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস এই অঞ্চলে এগিয়ে ৩২টি আসনে। এদিকে দক্ষিণ কর্ণাটক জেডিএস-এর গড় হিসেবে পরিচিত। তবে জেডিএস সেখানে ভোট হারিয়েছে। তারা মাত্র ২১টি আসনে এগিয়ে এই অঞ্চলে।
ভোটের হারে অনেক পিছিয়ে বিজেপি
এখনও পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেস পেয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ ভোট। বিজপির ঝুলিতে গিয়েছে ৩৬.৫ শতাংশ ভোট।
ম্যাজিক ফিগারের দিকে এগিয়ে কংগ্রেস
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেস এগিয়ে ১১০টি আসনে। ২৩টিতে এগিয়ে জেডিএস।
জেডিএস ছাড়া গতি নেই?
কংগ্রেস আপাতত এগিয়ে ৯৮টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৭৮টি আসনে। জেডিএস এগিয়ে ৩২টি আসনে। অর্থাৎ, শেষ পর্যন্ত যগি ফলাফল এমনটাই থাকে, তাহলে জেডিএস ছাড়া গতি নেই কোনও পক্ষেরই।
১০০ পার কংগ্রেসের
কংগ্রেস এগিয়ে ১০৪টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৯২টি আসনে। অপরদিকে জেডিএস এখন এগিয়ে ২৬টি আসনে।
পোস্টাল ব্যালটে কিছুটা এগিয়ে বিজেপি
ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর প্রথম আধা ঘণ্টায় পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আপাতত গেরুয়া শিবির এগিয়ে ৯৫টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ৮৩টি আসনে। অপরদিকে ‘কিংমেকার’ জেডিএস এগিয়ে ২২টি আসনে।
শুরু হল ভোটগণনা, ২৬১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ
শুরু হল কর্ণাটকব বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। আজ ২৬১৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে দক্ষিণী রাজ্যে।
ভোটগণনার আগেই উৎসব কংগ্রেস শিবিরে
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ২২৪টি আসনের ভোট গণনার আগেই দিল্লিতে কংগ্রেস অফিসে উদযাপন শুরু হয় গিয়েছে।
সরকার গঠনের বিষয়ে নিশ্চিত সিদ্দারামাইয়া পুত্র
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ছেলে যথিন্দ্র সিদ্দারামাইয়া আজ বলেন, ‘কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং কর্ণাটকে সরকার গঠন করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা নিজেরাই সরকার গঠন করব।’
৩৮ বছর রীতি ভাঙার লড়াই বিজেপির কাছে
১৯৮৫ সাল থেকে কখনও কোনও দলকে পরপর দু'বার ক্ষমতায় ধরে রাখেনি কর্ণাটক। এবার সেই রীতি কি ভাঙবে, উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
ভোটের ফলাফলের পর ‘রিজর্ট রাজনীতি’র দিকে থাকবে নজর
গতবার জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে মরিয়া ছিল কংগ্রেস। তবে তার আগেই সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি এবং সরকার গঠন করে ফেলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কিন্তু মাত্র তিনদিন টিকেছিল বিজেপি সরকার। তারপর জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। কিন্তু সেই জোট সরকারও বেশিদিন টেকেনি। ১৪ মাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এবারও ভোটের ফলাফলের পর তাই ‘রিজর্ট রাজনীতি’ হয় কি না, সেদিকে থাকবে নজর।
২০১৮ সালের ফল
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল বিজেপি। জিতেছিল ১০৪ টি আসনে। কংগ্রেসের ঝুলিতে ৮০ টি আসন গিয়েছিল। জেডি(এস) জিতেছিল ৩৭ টি আসনে। একটি করে আসনে জিতেছিল নির্দল, বিএসপি এবং কর্ণাটক প্রজ্ঞাবন্ত জনতা পার্টি। অর্থাৎ কোনও দলই 'ম্যাজিক ফিগার' (১১৩) পার করতে পারেনি।
জি নিউজ-ম্যাট্রিজ বুথফেরৎ সমীক্ষা কী বলেছিল?
জি নিউজ-ম্যাট্রিজ বুথফেরৎ সমীক্ষা: ১০৩-১১৮ টি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। ৭৯-৯৪ টি আসন যেতে পারে বিজেপির ঝুলিতে। জেডিএসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৫-৩৩ টি আসন। দুটি বা পাঁচটি আসন পেতে পারে নির্দলরা।
টিভি৯ ভারতবর্ষ-পোলস্ট্র্যাট বুথফেরৎ সমীক্ষা কী বলেছিল?
টিভি৯ ভারতবর্ষ-পোলস্ট্র্যাট বুথফেরৎ সমীক্ষা: কর্ণাটকে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হতে পারে। ৯৯-১০৯ টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ৮৮-৯৮ টি আসন। জেডিএস ২১-২৬ টি আসন পেতে পারে। অন্যান্যদের ঝুলিতে সর্বাধিক চারটি আসন যেতে পারে।
এশিয়ানেট নিউজ-জন কী বাত বুথফেরৎ সমীক্ষা কী বলেছিল?
এশিয়ানেট নিউজ-জন কী বাত: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কর্ণাটকে। বিজেপি ৯৪-১১৭ টি আসনে জিততে পারে। ৯১-১০৮ টি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। জেডিএস ১৪-২৪ টি আসনে জিততে পারে। সর্বাধিক দুটি আসনে জিততে পারেন নির্দল প্রার্থীরা।
এবিপি সি-ভোটার বুথফেরৎ সমীক্ষা কী বলেছিল?
এবিপি সি-ভোটার বুথফেরৎ সমীক্ষা: বিজেপি পেতে পারে ৮৮-৯৮ টি আসন। কংগ্রেস ৯৯-১০৯ টি আসন জিততে পারে। জেডিএসের ঝুলিতে ২১-২৬ টি আসনে জিততে পারে।
নিউজ২৪-টুডেজ চাণক্য বুথফেরৎ সমীক্ষা কী বলেছিল?
নিউজ২৪-টুডেজ চাণক্য বুথফেরৎ সমীক্ষা: বিজেপি ৯২ টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১২০ টি আসন। জেডিএস জিততে পারে ১২ টি আসনে।
কোন প্রার্থীদের ওপর থাকবে নজর?
যে সমস্ত প্রার্থীরা নজর কাড়ছেন তাঁদের মধ্যে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী বাসবরাজ বোম্মাই। সঙ্গে বিজেপির আর অশোক, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক আর রবির ওপরও নজর থাকবে। কংগ্রেসের ডিকে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া রয়েছেন। এছাড়াও জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীও রয়েছেন লড়াইতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার পুত্র লড়ছেন এবারে। এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গেও লড়ছেন।
নজর লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগাদের ওপর
ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত ভোটব্যাঙ্ক কোনদিকে ঝুঁকছে সেদিকে থাকবে সবার নজর। সেই রাজ্যের ১৭ শতাংশ লিঙ্গায়েত এবং ১১ শতাংশ ভোক্কালিগা। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। এদিকে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার হলেন ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের।
গতবারের ফলাফল
২০১৮ সালে বিজেপির পক্ষে ছিল ১০৪ টি আসন, কংগ্রেস ৮০ ও জেডিএস ছিল ৩৭ আসনে জয়ী। এছাড়াও বিএসপি একটি, কেজিপেজি একটি ও নির্দল একটি আসন পেয়েছিল।
গতবারের ভোটের হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে ২০২৩
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবছর কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১৯ শতাংশ। যা ২০১৮ সালের ভোটদানের হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
‘ম্যাজিক ফিগার’ ১১৩
কর্ণাটকে মোট আসন সংখ্যা ২২৪। এই রাজ্যে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১১৩। আজ সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে যাবে গণনা।
২৪-এর ভোটের আগে বড় পরীক্ষা
দেশের জাতীয় রাজনীতিতে কর্ণাটক বিধানসভা ভোট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এবছর বেশ কয়েকটি বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে এই নির্বাচনগুলিকে ২৪-এর সেমিফাইনাল হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদি কংগ্রেস আজ কর্ণাটক জয় করে নেয়, তাহলে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে তা কর্ণাটকের ভূমিপুত্র তথা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের জন্য বড় প্রাপ্তি হবে।
আজ ভোটগণনা, ‘কিংমেকার’ হতে পারে জেডিএস
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩ সালের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছিল ১০ মে-এর সন্ধ্যা ৬টায়। আজ ১৩ মে ভোটগণনা। সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস ও বিজেপি কন্নড়ভূমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে নামবে। তবে তার মাঝে স্থানীয় দল জেডিএস ফের একবার 'কিংমেকার' হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।