লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি তবলির অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা যতীন মোহান্তি। ঠিক তারপরেই নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নির্বাচন কমিশন।
সরকারি বিজ্ঞাপনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে অস্বস্তিতে ওড়িশা সরকার। এর ভিত্তিতে ওড়িশার শাসক দল বিজেডি (বিজু জনতা দল) এবং রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করল ভারতের নির্বাচন কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনে কেন দলের ‘শঙ্খ’ ব্যবহার করা হল? তা জানাতে বলেছে কমিশন। এবিষয়ে বিজেডির সাধারণ সম্পাদক এবং ওড়িশার মুখ্য সচিবকে আগামী ২ মার্চ বিকেল ৫ টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংবাদপত্র, ব্যানার, হোর্ডিং ও একাধিক মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনে বিজেডির প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের এমন নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা যতীন মোহান্তি। ঠিক তারপরেই নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ অনুযায়ী, ওড়িশা সরকারের বিজ্ঞাপনগুলি রাজ্য সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের বাসে, বিভিন্ন শহরে হোর্ডিং, সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেলগুলিতে দেখানো হয়েছে। তাতে বিজেডি'র ‘শঙ্খ’ প্রতীক প্রদর্শন করে প্রচার করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞাপনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করায় আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের। ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমস্ত স্বীকৃত জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় দলের প্রতীক সরকারি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে নির্দেশ অন্যান্য করলে তা ১৯৬৮ সালের নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ ও বরাদ্দ) আদেশের ১৬এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন অমান্য হিসাবে বিবেচিত হবে।