প্রচুর বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভোট মিটতেই তাঁকে থানা এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। তার পর তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়।
তৃণমূল প্রার্থী মনোজ ঘোষ
অফিসে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তিনি আবার এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। বীরভূমের নলহাটি-১ ব্লকের বাসিন্দা বানিওর পঞ্চায়েতের বাহাদুপপুর গ্রামের বাসিন্দা সেই মনোজ ঘোষ ভোটে জিতে গেলেন।
ভোট শেষ হওয়ার পর সোমবারই মনোজকে গ্রেফতার করে এনআইএ। প্রচুর বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভোট মিটতেই তাঁকে থানা এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। তার পর তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বীরভূমের নলহাটির বানিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ান। ৩০৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন মনোজ ঘোষ। ভোটের ফল জানা যেতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, নলহাটিতে মনোজের একটি পাথরের ক্রাশার রয়েছে। ওই পাথর ক্রাশারের দফতরে গত ২৮ জুন হানা দেয় এনআইএ। সেই সময় মনোজের দফতর থেকে ব্যাগভর্তি জিলেটি স্টিক ও ৮৫ হাজার ইলেকট্রিক ডিটোনেটর এবং ২৭০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মনোজ। কিন্তু ভোট শেষ হতেই সোমবার তাঁকে তলব করে এনআইএ। সূত্রের খবর, তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে জানতে চায়। কিন্তু উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভোটের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তিনি জয়লাভ করেছেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপি সমর্থক ছিলেন মনোজ ঘোষ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকশ গ্রামবাসী সেই সময় জোড়া ফুলে যোগ দেয়। তাঁকে এবার গ্রামে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল।