আদালতের নির্দেশে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায়। কিন্তু বুধবার প্রায় কোনও বুথেই দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও বেবলা বাড়তে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নিজে স্বীকার করেছিলেন যে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে মোট ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বাহিনী গেল কই? সেই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিলেন বিএসএফের আইজি। কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবস্থাপনায় তিনি চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে BSF-এর আইজি লিখেছেন, বাহিনীর যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি ছিল না। এমনকী বহু জায়গায় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি আধিকারিকরা। কেন এই অব্যবস্থা হল তা জানতে চেয়েছেন BSF-এর IG.
যদিও এদিন দুপুরে ভোটসন্ত্রাসের দায় অস্বীকার করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসের দায় কমিশনের নয়। কমিশনের কাজ সমস্ত ব্যবস্থা করা। আমরা স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছি। এবার প্রশাসন সেটাকে কী ভাবে ব্যবহার করবে সেটা তাদের ব্যাপার। কে কোথায় কাকে খুন করে দেবে তার দায় কমিশনের হতে পারে না।’
বিএসএফের IG-র অভিযোগ যে মিথ্যা নয় তা প্রমাণিত হয়েছে শনিবার বিকেলে। এদিন ভোটগ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পর ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় এসে পৌঁছেছে পঞ্জাব পুলিশের ২০০ জন কর্মী ও আধিকারিক। ভোটের সময় সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোতায়েন করার কথা ছিল এদের।

শনিবার বিকেলে কাশীপুর থানায় পৌঁছল পঞ্জাব পুলিশের বাহিনী।
বিএসএফের আইজির চিঠিতে বিরোধীদের অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বিজেপিসহ বিরোধীদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।