পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে স্ক্রুটিনির কাজ। কিন্তু সেটাও হল না রক্তপাতহীন। আজ, শনিবার মালদার কালিয়াচকে এবার খুন হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। নবগ্রামের ছায়া দেখা গেল মালদায়। ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কংগ্রেসকে। সুতরাং আজকের ঘটনা নিয়ে গত একসপ্তাহে রাজ্যে ভোটের বলি হল ছয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই খুনকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এদিকে সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। এদিন তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। তাতেই মৃত্যু হয় এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। তিনি আগে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। এবারও প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনে লড়াই করার আগেই প্রাণ দিতে হল তাঁকে। এদিন দুপুরে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা করা হয়। এই ঘটনার পর সেখানে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম মোস্তাফা খান। সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। দুষ্কৃতীরা বাঁশ–লাঠি–ধারাল অস্ত্র খুন করেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এই ঘটনার পর রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফা খান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।