এখন রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দল থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সবাই নিজের নিজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হলেও তার আগে থেকেই প্রচুর বাস লাগবে। আবার ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার কথা। সুতরাং বেশ কয়েকদিনের জন্য বাস লাগবে। এই সুযোগটি বুঝতে পেরেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়াল পরিবহণ সংগঠন।
পরিবহণ সংগঠনের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে,পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা না বাড়ালে বাস সরবরাহ করা হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই কথাই জানিয়ে দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে গিয়ে বেশ চাপে পড়ে গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। এখন জ্বালানি–সহ নানা খরচ বেড়ে গিয়েছে বাসের। আগের মতো পরিস্থিতি নেই। তাই আগের দরে গাড়ি ভাড়া দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। এমনকী এই মর্মে একটি চিঠি তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছেন। কোন বাস–গাড়িতে কত ভাড়া দিতে হবে সেটাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
একদিকে বাসের খরচ অন্যদিকে টিফিন বাবদ যে টাকা রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়ে থাকে তারও খরচ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্সের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় গাড়ি ভাড়া, কর্মীদের খোরাকি এবং খাবার খরচ বাবদ যে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই একই টাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করা সম্ভব নয়। বাস ভাড়া বাড়াতে হবে। আর সেক্ষেত্রে প্রত্যেকদিন ৩৫০০ টাকা দিতে হবে। একইসঙ্গে ৮০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দিতে হবে। এই টাকার মধ্যে জ্বালানির খরচ ধরা হয়নি।
আর কী দাবি করা হয়েছে? মিনিবাসের রেট আলাদা। আগে ১৯০০ টাকায় মিলত। এবার থেকে বাড়িয়ে প্রত্যেকদিন ৩০০০ টাকা করতে হবে। আর ৮০ শতাংশ টাকা আগাম দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়। ছোট গাড়ি যদি লাগে তাহলে প্রত্যেকদিনের ভাড়া হবে ১২০০ টাকা। আর এসি গাড়ি লাগলে তার জন্য দিতে হবে ১৬০০ টাকা। সঙ্গে টিফিনের খরচ দৈনিক একজনের ৫০০ টাকা। এই সব দাবি মেনে নিলে তবেই বাস–গাড়ি সরবরাহ করা যাবে বলে তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন।