আজ, রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে কংগ্রেস–বিজেপিকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মালদা জেলার সুজাপুর থেকে সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ করলেন অভিষেক। বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় হাত মিলিয়ে চলছে অধীর চৌধুরী বলে তাঁর অভিযোগ। এমনকী মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীকেও নিশানা করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
আজ, দুপুরে সুজাপুরের মাটি থেকে কংগ্রেস–বিজেপিকে এক আসনে দাঁড় করিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি বলেন, ‘অধীর চৌধুরী এখন অমিত শাহের পুলিশ নিয়ে চলে। দিদির পুলিশের উপর ভরসা নেই। দাদার পুলিশের উপর ভরসা আছে। উনি তো তথাকথিত রবিনহুড নেতা। অধীর চৌধুরীকে একটা সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখেছেন? মোদী–শাহকে আক্রমণ করেছেন। রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে কিছু বলতে শুনেছেন?’ অধীর চৌধুরী এইসব ইস্যুতে রাস্তায় মুখ খোলেননি। এমনকী সংসদেও বিদ্রোহ করতে দেখা যায়নি। এই কথাই আজ সুজাপুরের মানুষের সামনে তুলে ধরলেন তিনি।
আর কী বলেছেন অভিষেক? এদিকে পাটনায় বিরোধীদের একটা বৈঠক হয়ে গিয়েছে। আর একটা বৈঠক জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে হবে। এই আবহে অভিষেক আজ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী পাটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে বলছেন একসঙ্গে লড়াই করবেন। আর বাংলার দুই কংগ্রেস সাংসদ বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। দু’জন কংগ্রেসের সাংসদ রয়েছে। একদিনের জন্য অধীর চৌধুরী, আবু হাসেম খান চৌধুরীরা বিজেপির বিরুদ্ধে বৈঠক করেননি। আর এখানে রোজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল করছেন। সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, বিমান বসুরা কখনও বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন? বিজেপিকে দেখেছেন কখনও অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কথা বলতে। আসলে বিজেপির সবথেকে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী।’ এই ভাষাতেই অভিষেক প্রমাণ দিলেন বিজেপি–কংগ্রেস আঁতাতের।
আরও পড়ুন: ‘এখানকার শিক্ষকরা কোনও কথা শোনেন না’, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক
বিজেপির উদ্দেশে কী বললেন? আজ বৃষ্টি নামতেই জনতাকে মঞ্চের পিছনে ডেকে নিলেন অভিষেক। তারপর তাঁর কথায়, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখেছেন। কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে? কোনও শাস্তি হয়েছে? কালো টাকা ধরে ১৫ লাখ টাকা দেবেন, কৃষকদের আয় তিন গুণ করে দেবেন, দু’কোটি বেকারের চাকরি হবে—একটাও হয়েছে? হয়নি। তাহলে এই গ্যারান্টারকে কি বিশ্বাস করা যায়? উল্টোদিকে দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন জিতে এসে মহিলাদের জীবন সুরক্ষিত করবেন। তিনি কথা রেখেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ সব দিয়েছে। এমনকী কন্যাশ্রী থেকে বিনা পয়সায় রেশন দিয়েছে। তাহলে বলুন বাংলার গ্যারান্টার কে? দিদি না মোদী?’ জনতা–জনার্দন চিৎকার করে জানালেন দিদি।