বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। তবে এবার মনে হয় একটা পার্বণ বাড়ল। সেটা ভোট পার্বণ। আর এটা একেবারে গ্রামীণ ভোট। গ্রামের লড়াই। পঞ্চায়েতের লড়াই। সেই ভোট উপলক্ষ্যে এবার ছুটি। রাজ্য়ের যে সমস্ত জেলায় যেসব জায়গায় পঞ্চায়েত ভোট হবে সেখানে এনআই অ্য়াক্টে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য়ের ২২টি জেলায় যেখানে পঞ্চায়েত ভোট সেখানে বাজবে ছুটির ঘণ্টা।
এনিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই নোটিশে ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের অধীনে থাকা এলাকায় সরকারি, সরকারি সংস্থা, স্বয়ংশাসিত সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে। এদিকে বহু সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়। সেই ভোট গ্রহণকেন্দ্রে আগে থেকে একাধিক প্রস্তুতি নিতে হয়। তাছাড়া আগের দিন রাত থেকেই সেখানে ভোটকর্মী, পুলিশ আসতে শুরু করেন। রাতের তারা সেখানেই থাকেন। কার্যত সেকারণেই যে সমস্ত জায়গায় একেবারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হিসাবে যে স্কুল বা সরকারি ভবনগুলি নেওয়া হবে সেগুলি ৬-৭ জুলাই বন্ধ থাকবে। তবে সেখানে ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
এদিকে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা তবে কী করবেন? কারণ অফিস বা কর্মস্থল ছুটি না থাকলে তাঁদের পক্ষে ভোটগ্রহণে অংশ নেওয়া অসম্ভব। কারণ বহু গ্রাম থেকে কর্মীরা একেবারে ভোরবেলা কলকাতার কর্মস্থলের দিকে রওনা দেন। এটাই তাঁদের রোজকার রুটিন। সেক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা হতে পারে। সেকারণে তারা যাতে ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন সেকারণে আলাদা করে তাদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে শ্রম দফতর। এতে সুবিধা হবে তাঁদের।
তবে ৮ জুলাই শনিবার হওয়ার কারণে বহু ক্ষেত্রেই সরকারি অফিস বন্ধ থাকে। তবে স্কুলে শনিবার হাফছুটি হয়। তবে এবার ভোটের দিন স্কুলে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণকেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হলে সেখানে ৬ জুলাই থেকে তার প্রস্তুতি চলবে।সেকারণে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হবে। তবে ভোটের পরেরদিন রবিবার হওয়ার কারণে কিছুটা সুবিধা হবে। আলাদা করে আর স্কুল পরিষ্কারের জন্য ছুটির প্রয়োজন নেই। সোমবার থেকে আবার পঠনপাঠন শুরু হবে। তবে তার আগে ৬-৭-৮-৯ পরপর চারদিন ছুটি থাকবে স্কুল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান। ৯ জুলাই রবিবার হওয়ার কারণে এমনিতেই ছুটি থাকে।