গতকাল শুক্রবার বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত শপথ নিয়েছেন। এই দুজনের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। তাদের মধ্যে সম্পর্ক যে খুব ভালো নয় তা অবশ্য কম বেশি সকলেরই জানা রয়েছে। বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটে গিয়েছিলেন। শেষমেষ কৃষ্ণা চক্রবর্তীকেই মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল। তবে দু'জনের টানাপোড়েনের কারণে যাতে পুরসভার কাজে বা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয় তা নিয়ে বার্তা দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার বিধাননগর পুরসভার ৪১ জন কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিধাননগরের সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘কে ডেপুটি মেয়র, কে চেয়ারম্যান, কে কাউন্সিলর তা দেখে লাভ নেই। একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা মানুষের সেবা করি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবারের মতো। তাই সকলকে একসঙ্গে থেকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’ বিধাননগর পুরসভার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিধাননগর- রাজারহাটকে উন্নয়নের মাধ্যমে আরও ভালোভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে।’প্রসঙ্গত পুরবোর্ডের সঙ্গে টানাপোড়নের জেরে ২০১৯ সালে মেয়র পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। তবে আবার তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছেন। পুরসভার উন্নয়নের জন্য যাতে কাউন্সিলরদের মধ্যে কোনও ধরনের মনোমালিন্য না থাকে সেই বার্তাই এদিন দিতে চেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। পুরনো মনোমালিন্য ভুলে গিয়ে বিধাননগর পুরসভা যে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে সেই বার্তা এদিন দিয়েছেন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং সব্যসাচী দত্ত। কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সকলেই মেয়র। মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’ অন্যদিকে, সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘কৃষ্ণাদির নেতৃত্বে আমরা বিধাননগরকে আরও উন্নত করে তুলব।’