তাঁকে এই পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছিলেন স্বয়ং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি রাজি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু পরাজয়ের মুখই দেখতে হল তাঁকে। চোখের জল ফেলে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। কারণ সেদিন তিনি একা এসেছিলেন ভোট দিতে। স্ত্রী বিয়োগের পর এটাই ছিল তাঁর একা আসা প্রথম ভোট। হ্যাঁ, তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য।তবে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এবার শিলিগুড়ি পুরবোর্ড গড়বে বামফ্রন্ট। তিনি নিজে জিতবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১০ ভোটে হার হয় বাম নেতার। ভোটযুদ্ধে হারলেন নান্টু পালও। ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। সুতরাং অশোক ভট্টাচার্যের স্বপ্ন বাস্তবায়িত এবার হচ্ছে না বলেই দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১, ২, ৩, ১৭, ১৮, ২০, ২৩, ২৫, ৩১, ৩৩, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয় সিপিআইএম। শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন গৌতম দেব। ৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তিনি। জয় শিলিগুড়িবাসীকে উৎসর্গ করেন তিনি।কেন হারলেন অশোক ভট্টাচার্য? এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘অশোক ভট্টাচার্যের দম্ভ এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস শিলিগুড়ি পুরনিগমে বামেদের ভরাডুবির কারণ।’ সকাল সাড়ে ৮টায় অবশ্য এগিয়ে ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। যত গণনা এগিয়েছে তত পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। শেষ বয়সে বারবার হারের মুখ দেখতে হচ্ছে তাঁকে। আর অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একটা বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের যে ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল। সেই ভোট আমাদের কাছে ফেরত আসার বদলে তৃণমূল কংগ্রেসের বাক্সে ঢুকেছে। আমাদের পলিটিক্যাল রিজেকশন হয়েছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি করি, হতাশায় ডুবে গিয়ে, ঘরে বসে গেলে হবে না।’