ফাটলের ছবিটা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি শিবির ত্যাগ করেছে বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)। তারপরেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিপিএফ নেত্রী প্রমীলা রানি ব্রহ্ম। দাবি করলেন, তাঁদের অত্যন্ত ‘অপমান করেছেন’ এক বিজেপি নেতা।সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘বিজেপির রঞ্জিত দাস আমাদের অত্যন্ত অপমান করেছেন। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে আমরা বিজেপির সঙ্গে যাব না। আমরা কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রঞ্জিত বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। শনিবার টুইটারে বিপিএফ প্রধান হাগরামা মোহিলারি বলেন, ‘শান্তি, ঐক্য এবং উন্নয়নের স্বার্থে অসমের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের হাত ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএফ।’ সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন, শাসক দল বিজেপির সঙ্গে কোনওরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জোট করা হবে না। তবে বিজেপি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনে বিপিএফের সঙ্গে লড়বে না গেরুয়া বাহিনী। ড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদে (বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল) রাজ্যপালের শাসন জারির পর থেকেই সেই তিক্ততা শুরু হয়েছিল। গত বছর স্বশাসিত পরিষদে পৃথকভাবে লড়াইয়ে পথে হেঁটেছিল বিপিএফ এবং বিজেপি। তাতে এককভাবে সবথেকে বেশি আসন পেলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না হাগরামার দলের কাছে। তিক্ততা ভুলিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোটের প্রস্তাবও দিয়েছিলেল হাগরামা। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে গণ সুরক্ষা পার্টি (জিএসপি) এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেলের (ইউপিপিএল) সঙ্গে হাত মিলিয়ে পারিষদের ক্ষমতা দখল করে গেরুয়া শিবির। অবশেষে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবির ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে বিপিএফ।এমনিতে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে এনডিএ জোট ৮৬ টি আসন পেয়েছিল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ঢের বেশি আসন পেয়ে অসমের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট। ৮৪ টি আসনে লড়াই করে ৬০ টিতে জিতেছিল বিজেপি। অসম গণ পরিষদ (অগপ) এবং বিডিএফের ঝুলিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৪ এবং ১২ টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী হন সর্বানন্দ সোনেয়াল।