মহম্মদ শামি মিসফিল্ডিং করতেই চটে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের তারকা পেসারকে। কোনওরকম রাখঢাক না করে তিনি বলে দেন, ‘আমার বলেও ফিল্ডিং করে নে কখনও কখনও।’ পরে অবশ্য তারকা অলরাউন্ডারকে কাজ করে দেখিয়ে ‘জবাব’ দেন শামিও। লং-অনে একেবারে বাউন্ডারি লাইনের একচুল আগে দাঁড়িয়ে একটা ভালো ক্যাচ নেন। যদিও বিষয়টা নিয়ে কোনও বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হয়নি। মাঠের মধ্যে যেমন কেউ ক্যাচ ফস্কালে বা মিসফিল্ডিং করলে বোলার বা অধিনায়ক যেমন চটে যান, সেটাই হয়েছিল।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের ২৬ তম ওভারে জাদেজার বোলিংয়ের সময় মিসফিল্ডিং করেন শামি। পঞ্চম বল কিছুটা ফুল লেংথে রাখেন জাদেজা। পাঞ্চ করেন ডাচ ব্যাটার। ওই শটে মেরেকেটে এক রান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিড-অনে শামির বাজে মিসফিল্ডিংয়ের কারণে সেটা চার হয়ে যায়।
তাতে প্রাথমিকভাবে কিছু বলেননি জাদেজা। কিন্তু ওভারের শেষ বল হতেই মিড-অনের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে থাকেন। মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে একেবারেই প্রসন্ন হয়ে কিছু বলছেন না। বরং যথেষ্ট বিরক্তি সহকারে বলতে থাকেন। আর জাদেজা কী বলছেন, সেটা স্টাম্প-মাইকে ধরা পড়ে। স্টাম্প-মাইকে শোনা যায়, জাদেজা বলছেন যে ‘আমার বলেও ফিল্ডিং করে নে কখনও কখনও।’
পরবর্তীতে কাজের মাধ্যমে সেই বিরক্তির 'জবাব' দেন শামি। ৪৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি লাইনের ঠিক আগে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। পরপর দুটি বলে বাউন্ডারি হজম করার পরে কিছুটা ঢিমেগতির বল করেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার জাদেজা। অফস্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে বলটা ফেলেন। লং-অনের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে যান ডাট ব্যাটার। কিন্তু এবার ঠিকমতো ব্যাট এবং বলের সংযোগ হয়নি। লং-অনের বাউন্ডারি লাইনের ঠিক আগে দাঁড়িয়ে থাকা শামি দারুণ ক্যাচ নেন।
ক্যাচটা দেখে সহজ মনে হলেও আদতে বেশ কঠিন ক্যাচ ছিল। কারণ একেবারে নিখুঁতভাবে তাঁকে বুঝতে হয়েছে যে বলটা কখন আসবে। সেইমতো হাত তুলতে হয়েছে। সেইসঙ্গে পিছনে যে বাউন্ডারির লাইন ছিল, সেটা রাখতে হয়েছে শামিকে। কারণ একটু এদিক-ওদিক হলেই ছক্কা হয়ে যেত। তাই পরিস্থিতি বিচার করে শামিকে যদি সেরা ফিল্ডারের মেডেল দেওয়া হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।