ভারতের বিরুদ্ধে বল গড়ানোর আগেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। চোটের জন্য শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। তাঁর পরিবর্তে দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তর উপর। এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেন নাজমুল। বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান ভালো করেছিলেন। প্রথম উইকেটে ৯৩ রান যোগ করেন তানজিদ এবং লিটন। বিশ্বকাপে ওপেনিং জুটিতে এটাই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের। এই জুটি ভাঙতে প্রায় ১৫ ওভার অপেক্ষা করতে হয়। ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হন তানজিদ। মারেন ৩টি ছয়, ৫টি চার। পরে হাফসেঞ্চুরি করেন লিটনও। ৭টি চারের সাহায্যে ৮২ বলে ৬৬ রান করেন লিটন। কিন্তু ওপেনাররা ফিরতেই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৯৩ রান থেকে ৪ উইকেটে ১৩৭। নাজমুল হোসেন শান্ত (৮), মেহিদি হাসান মিরাজ (৩), তৌহিদ হৃদয়রা (১৬) ব্যর্থ হন। ছয় এবং সাত নম্বরে নেমে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান দলের দুই সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং মহমাদুল্লাহ। ৪৬ বলে ৩৮ করেন মুশফিকুর। অর্ধশতরানের থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থামেন মহমাদুল্লাহ। ৪৬ রানে তাঁকে বোল্ড করেন বুমরাহ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। জোড়া উইকেট নেন বুমরাহ, সিরাজ এবং জাদেজা। শার্দুল, কুলদীপ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস পুরোটাই কার্যত বিরাটময়। যদিও শুরুটা করেছিলেন রোহিত-শুভমন। দুই তারকা সাজঘরে ফিরতেই পুণে জুড়ে শুধুই কোহলি আর কোহলি। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম শতরান করে ফেললেন কোহলি। ওডিআই ৪৮তম সেঞ্চুরি করে উঠে পড়লেন সচিনের ঘাড়ে। সচিনের ৪৯টি ওডিআই সেঞ্চুরি রয়েছে। এদিন ছক্কা হাঁকিয়ে নিজে সেঞ্চুরি পূরণ করেন বিরাট, সেই সঙ্গে ৫১ বল বাকি থাকতে ভারতকেও ম্যাচ জেতান কোহলি। ৯৭ বলে ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন কিং। পুণেতে একদিনের ক্রিকেটে ৮টি ম্যাচ খেলেছেন। তার মধ্যে ৩টি শতরান, ৫টি অর্ধশতরান করেছেন। নিঃসন্দেহে পুণে লাকি মাঠ কোহলির জন্য। ভারতের জয়ের জন্য বাকি ছিল ২০ রান, বিরাটের শতরানের জন্যও দরকার ছিল ২০ রান। কিন্তু কেএল রাহুলের মতো ভুল করেননি কোহলি। শেষ দিকে ছক কষে খেলে আরও একটি শতরানে পৌঁছে যান তিনি। ইনিংসে রয়েছে ৪টি ছয়, ৬টি চার।
২৫৭ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪১.৩ ওভারেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। জয়ের হ্যাটট্রিকের পর ৪-০। বিশ্বকাপে ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছে রোহিত অ্যান্ড কোম্পানি। তরা পরপর চার ম্যাচ জিতে সেমির রাস্তা প্রশস্ত করল। রোহিত ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া বাদ দিয়ে বাকি সব ম্যাচেই দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিনও অন্যথা হল না। মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন বটে, তবে ২টি ছয়, ৭টি চারের সাহায্যে নিজের চেনা মেজাজে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রোহিত। উইকেটের অন্য প্রান্তে শুভমন গিলও ভরসা জোগালেন। পাকিস্তান ম্যাচে রান পাননি। তবে এদিন ফের চেনা ছন্দে ধরা দেন তিনি। ৫৫ বলে ৫৩ করে আউট হন। একদিনের ক্রিকেটে এটি তাঁর ১০ নম্বর অর্ধশতরান। ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৫টি চার। এদিকে কোহলি ৪৮ বলে অর্ধশতরান করেন। তার পর হিসাব কষে সেই রান নিয়ে যান সেঞ্চুরিতে। এদিকে শ্রেয়স আইয়ার মাত্র ১৯ করেই আউট হন। কেএল রাহুল ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান পূরণ, সঙ্গে ভারতকে জেতালেন কোহলি
কোহলি ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন। সেই সঙ্গে ভারতকেও জেতালেন। ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলেই কোহলি ছক্কা হাঁকান। ৫১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ৪১.৩ ওভারে ভারত করে ফেলে ২৬১ রান। ৯৭ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এটি বিরাটের ৪৮তম ওডিআই সেঞ্চুরি। সচিনের থেকে আর একটি শতরান পিছিয়ে রয়েছেন। সচিন করেছেন ৪৯টি ওডিআই সেঞ্চুরি। এদিকে রাহুল এদিন ৩৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথম চার ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিল ভারত।
জিততে ৬০ বলে ভারতের চাই আর মাত্র ৮ রান
জয়ের দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে টিম ইন্ডিয়া। ৪০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৪৯ রান ভারতের। জিততে ৬০ বলে ভারতের চাই আর মাত্র ৮ রান। আর সেঞ্চুরি করতে কোহলিরও ৮ রান দরকার। ৮৮ বলে ৯২ করে ফেলেছেন কোহলি। ৩৪ বলে ৩৪ রান রাহুলের।
৩৭তম ওভারে এল ৩৪ রান
৩৭তম ওভারে ভারত ১৪ রান নিল। এই ওভারে শরিফুলকে ১টি ছয় এবং একটি চার হাঁকান রাহুল। সেই সঙ্গে ওভার শেষে ভারতের স্কোর পৌঁছে যায় ৩ উইকেটে ২২৩ রানে। ৭৪ বলে ৭০ রান কোহলির। রাহুল করেছেন ৩০ বলে ৩০ রান।
২০০ পার করল ভারত
৩৪তম ওভারে ২০০ পার করে গেল ভারত। চতুর্থ ম্যাচে জয় পাওয়াটা এখন ভারতের কাছে সময়ের অপেক্ষা। ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২০১ রান ভারতের। ৯৬ বলে আর ৫৬ রান দরকার। ৬৮ বলে ৬৫ রান কোহলির। ১৮ বলে ১৩ রান রাহুলের।
আউট শ্রেয়স
মেহেদি হাসানের বলে আউট শ্রেয়স। বড় শট খেলতে গিয়েই মাহমুদুল্লাহের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। ২টি চারে হাত ধরে ২৫ বলে ১৯ করে সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন কেএল রাহুল। ৩০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৮৪ রান ভারতের। ৫৮ বলে ৫৭ রান কোহলির। ৪ বলে ৫ রান রাহুলের।
হাফসেঞ্চুরি পূরণ কোহলির
হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন বিরাট কোহলি। ৪৮ বলে তিনি ওডিআই ক্যারিয়ারের ৬৯তম অর্ধশতরান করে ফেললেন। হাঁকালেন ১টি ছক্কা, চারটি চার। কোহলির হাফসেঞ্চুরির হাত ধরে ২৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭১ রান। ২১ বলে ১৮ রান শ্রেয়সের।
২৫ ওভারে ভারতের স্কোর ১৬১/২
২৫ ওভার শেষ। ভারতের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান। ৪২ বলে ৪২ রান কোহলির। ১৫ বলে ১৬ রান শ্রেয়সের।
১৫০ করে ফেলল ভারত
২৩তম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫০ করে ফেলল ভারত। ৩৬ বলে ৩৮ রান কোহলির। ৯ বলে ৯ রান শ্রেয়সের।
দ্বিতীয় উইকেট পড়ল ভারতের
হাফসেঞ্চুরি করার পরেই সাজঘরে ফিরলেন শুভমন। ১৯.২ ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে মাহমুদুল্লাহের হাতের ক্যাচ দিলেন তিনি। ৫৫ বলে ৫৩ করে ফিরলেন সাজঘরে। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার শ্রেয়স আইয়ার। এই ওভারে ১টি উইকেট পড়লেও হল ১২ রান। শেষ বলে শ্রেয়স অল্পের জন্য আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচলেন। তাঁর ক্যাচ মিস হয়। উল্টে বলটি চার হয়ে যায়। ২০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ১৪২ রান। ২৫ বলে ৩৪ রান কোহলির। ২ বলে ৫ রান শ্রেয়সের।
হাফসেঞ্চুরি শুভমনের
১৯তম ওভারের প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন শুভমন। ওডিআই বিশ্বকাপে এটি শুভমনের প্রথম অর্ধশতরান। ৫টি চার, ২টি ছক্কার সৌজন্যে শুভমন ৫২ বলে ৫০ পূরণ করেন। ১৯ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১৩০ রান। ৫৩ বল ৫১ রান শুভমনের। কোহলি করেছেন ২৩ বলে ২৯ রান।
১৩তম ওভারে এল ২৩ রান, ১০০ পার কর ভারত
রোহিত শর্মার মতো বড় উইকেট পেয়েও সেলিব্রেশনের রেশটা বজায় রাখতে পারলেন না হাসান মাহমুদ। কারণ এই ওভারে তিনি মোট ২৩ রান দিয়ে বসে থাকলেন। রোহিত আউট হওয়ার আগেই প্রথম তিন বলে দিয়েছিলেন মোট ৮ রান। চতুর্থ বলে রোহিত আউট হন। পঞ্চম বলটি নো করেন হাসান। সঙ্গে ২ রান নেন কোহলি-শুভমন। হয় মোট ৩ রান। এর পর ফ্রি-হিটে চার হাঁকান কোহলি। সেই বলটিও হাসান নো করেন। হয় মোট ৫ রান। পরের ফ্রি-হিটে কোহলি ছক্কা হাঁকান। শেষ বলে এক রান হয়। মোট ২৩ রান দেন হাসান। ১৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১০৩ রান। ৪ বলে ১৩ রান কোহলির। ৩৬ বলে ৪০ রান শুভমনের।
হাফসেঞ্চুরি মিস রোহিতের
মাত্র ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেন রোহিত। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ঠিক এর পরেই হাসান মাহমুদ শর্ট বল করেন। সেই বলেও রোহিত ছক্কা হাঁকাতে যান। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিক করে হয়নি। বাউন্ডারি লাইনের সামনে রোহিতের ক্যাচ ধরেন তৌহিদ হৃদয়। ২টি ছয়, সাতটি চারের হাত ধরে ৪০ বলে ৪৮ করে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটার বিরাট কোহলি।
১২ ওভারে এল ১২ রান
১২তম ওভারে মুস্তাফিজুরকে তিনটি চার হাঁকান শুভমন। এই ওভার থেকে হয় মোট ১২ রান। ১২ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৮০ রান। ৩৫ বলে ৩৯ করে ফেললেন শুভমন। রোহিতের সংগ্রহ ৩৭ বলে ৪১ রান।
পাওয়ার প্লে-তে হল ৬৩ রান
১০ ওভারের খেলা শেষ। পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে ৬৩ রান ভারতের। ৩৩ বলে ৩৭ রান রোহিতের। ২৭ বলে ২৬ রান শুভমনের।
হাফসেঞ্চুরি ভারতের
ভারত হাফসেঞ্চুরি করে ফেলল। ৯ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫০ রান ভারতের। ৩৩ বলে ৩৭ রান রোহিতের। ২১ বলে ১৩ রান শুভমনের।
৫ ওভারে ৩৩ ভারতের
৫ ওভার শেষ। ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৩৩ রান। রোহিত ১৮ বলে ২৭ করে ফেলেছেন। ১২ বলে ৬ রান শুভমনের।
১২ রান এল তৃতীয় ওভারে
তৃতীয় ওভারে রোহিত ফের শরিফুলকে পিটিয়ে ১২ রান নিলেন। মারলেন একটি চার এবং একটি ছক্কা। এছাড়া ডবল নিয়েছেন রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজুরকে একটি চার মেরেছিলেন। হয়েছিল মোট ৬ রান। ৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ২৬ রান। ১৩ বলে ২১ রান রোহিতের। শুভমনের সংগ্রহ ৫ বলে ৫ রান।
প্রথম ওভারেই ২টি চার হাঁকালেন রোহিত
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাদ দিলে, রোহিত বিস্ফোরক মেজাজে রয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধামাকাদার মেজাজেই শুরুটা করলেন। প্রথম ওবারে শরিফুলকে ২টি চার হাঁকালেন তিনি। ৬ বল খেলে করলেন ৮ রান। শুভমন এখনও একটি বলও খেলেননি।
রান তাড়া করা শুরু
ভারতের সামনে ২৫৭ রানের লক্ষ্য়। রানের পাহাড় না হলেও, সহজ লক্ষ্যও নয়। ভারত সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পড়ল। ওপেন করতে নেমেছেন রোহিত এবং শুভমন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভার করতে এসেছেন শরিফুল।
৮ উইকেটে ২৫৬ করল বাংলাদেশ
নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করল বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান মাহমুদুল্লাহর পরিবর্তে নামা শরিফুল। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৬-তে পৌঁছে যায়। ভারতকে ২৫৭ রান করতে হবে। খুব সহজ লক্ষ্য নয়। শরিফুল ৩ বলে ৭ করে অপরাজিত থাকেন। ৭ বলে অপরাজিত ১ রান করেন মুস্তাফিজুর।
চার রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া মাহমুদুল্লাহর
ভালো খেলছিলেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি হল না তাঁর। চার রানের আগেই থামলেন তিনি। বুমরাহ বোল্ড করেন তাঁকে। ৩টি করে ছয় এবং চার হাঁকিয়ে ৩৬ বলে ৪৬ করে ফিরলেন মাহমুদুল্লাহ। বুমরাহের ইয়র্কার বুঝতে না পেরে ক্লিন বোল্ড হলেন তিনি।
নাসুম আউট
৪৬.৫ ওভারে সিরাজের বলে কট বিহাইন্ড হন নাসুম। ২টি চারের সৌজন্যে ১৮ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার মুস্তাফিজুর। ৪৭ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২৩৩ রান বাংলাদেশের। ১ বল খেললেও, রানের খাতা খোলেননি মুস্তাফিজুর। মাহমুদুল্লাহের ২৭ বলে ৩২ রান।
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২১০/৬
৪৫ ওভার শেষ। বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান। মাহমুদুল্লাহ করেছেন ২৩ বলে ১৯ রান। ১১ বলে ৪ রান নাসুমের।
চোখ ধাঁধানো ক্যাচ জাদেজার
কী অসাধারণ ক্যাচটাই না ধরলেন জাড্ডু। ডানদিকে উড়ে গিয়ে প্রায় মাটির সমান্তরাল জায়গা থেকে দুরন্ত ক্যাচটি নেন জাদেজা। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে বিশাল উইকেট পেলেন বুমরাহ। মুশফিকুর বেশ ছন্দে ছিলেন। একটি ছয়, একটি চারের হাত ধরে ৪৬ বলে ৩৮ করে সাজঘরে ফিরলেন মুশফিকুর। ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার নাসুম আহমেদ। ষষ্ঠ উইকেট হারালেও এই ৪৩তম ওভারে ২০০ পার করে গিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ বলে ১৪ রান মাহমুদুল্লাহের। নাসুম ৩ বল খেললেও, এখনও রানের খাতা খোলেননি।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৯/৫
৪০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান। ৪০ বলে ৩৪ রান মুশফিকুরের। মাহমুদুল্লাহ করেছেন ১০ বলে ৬ রান।
হৃদয়কে ফেরালেন শার্দুল
পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৩৭.২ ওভারে শার্দুলের বলে শুভমনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন হৃদয়। ৩৫ বলে ১৬ করেছিলেন তিনি। পরিবর্তে মাহমুদুল্লাহ এলেন ক্রিজে। ৩৮ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান বাংলাদেশের। ৩৫ বলে ৩১ রান মুশফিকুরের। মাহমুদুল্লাহ করেছেন ৩ বলে ১ রান।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৫/৪
৩৫ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে। ২৭ বলে ২১ রান মুশফিকুরের। ২৮ বলে ১২ রান হৃদয়ের।
১৫০ পার বাংলাদেশের
৩২তম ওভারে ১৫০ পার করে গেল বাংলাদেশকে। এই ওভারে মোট ৭ রান হয়ে। ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৬ রান। ১৩ বলে ১৫ রান মুশফিকুরের। ২৪ বলে ৯ রান হৃদয়ের।
সেট হয়ে যাওয়া লিটনকে ফেরালেন জাদেজা
সাতটি চারের হাত ধরে ৮২ বলে ৬৬ করে ফেলেছিলেন লিটন দাস। ওপেন করতে নেমে তিনি সেট হয়ে গিয়েছিলেন। আর ২৮তম ওভারে বল করতে এসে সেই লিটনকেই ফেরালেন জাদেজা। বাংলাদেশের কাছে এটি বড় ধাক্কা। চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার মুশফিকুর। ১ বলে ১ রান করেছেন তিনি। হৃদয়ের সংগ্রহ ১২ বলে ৫ রান। ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৪ রান।
দুরন্ত ক্যাচ ধরলেন রাহুল, আউট হলেন মেহেদি
উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে একেবারে বাজপাখির মতো উড়ে গিয়ে বাঁ-হাতে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেন রাহুল। তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। সিরাজের ওভারে ১৩ বলে ৩ করে কট বিহাইন্ড হন মেহেদি হাসান মিরাজ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন তৌহিদ হৃদয়। ২৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান বাংলাদেশের। ৭৪ বলে ৬৪ করে লড়াই চালাচ্ছেন লিটন। তৌহিদের সংগ্রহ ৩ বলে ১ রান।
আউট শান্ত
দ্বিতীয় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন মেহেদি হাসান। ২০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১১০ রান বাংলাদেশের। ৬০ বলে ৪৮ করে লড়াই চালাচ্ছেন লিটন।
১০০ পার বাংলাদেশের
১৮তম ওভারে ১০০ পার করে গেল বাংলাদেশ। ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৩ রান টাইগারদের। লিটন ৫২ বলে ৪৪ করে ফেলেছেন। নাজমুলের সংগ্রহ ১৩ বলে ৫ রান।
বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙল
৯৩ রানের পার্টনারশিপ করার পর অবশেষে কুলদীপ যাদব ভাঙলেন বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এলবিডব্লিউ হন তানজিদ। তিনটি ছক্কা এবং পাঁচটি চারের হাত ধরে তানজিদ ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার নাজমুল। তিনি ২ বল খেলে ১ রান করেছেন। লিটনের সংগ্রহ ৪৫ বলে ৩৯ রান। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৯৪ রান।
হাফসেঞ্চুরি তানজিদের
শুরুটা একটু ধরে খেলছিলেন। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে তত হাত খুলেছেন তানজিদ এবং লিটন। ১৪তম ওভারে তানজিদ তো হাফসেঞ্চুরিও করে ফেললেন। ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তানজিদ। ওডিআই-এ প্রথম হাফসেঞ্চুরি তানজিদের। ৪৩ বলে ৩৭ করে লড়াই চালাচ্ছেন লিটন। বাংলাদেশের স্কোর ১৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৯০ রান
পাওয়ারপ্লে-তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৩/০
পাওয়াপ প্লে-তে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান করে ফেলল। দশম ওভারে শার্দুলকে পিটিয়ে ১৬ রান নিয়েছে টাইগাররা। ২টি ছক্কা এবং একটি চার হাঁকিয়েছেন তানজিদ। ওভার শেষে তাঁর সংগ্রহ ৩০ বলে ৪০ রান। লিটন করেছেন ৩০ বলে ২১ রান।
বোলার কোহলি
নবম ওভারে প্রথম ৩ বল করেই খোঁড়াতে থাকেন হার্দিক। প্রথম তিন বলে তাঁকে ২টি চার হাঁকিয়েছিলেন লিটন। হার্দিক খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়লে, বাকি তিন বল করতে আসেন কোহলি। একেবারে নতুন ভূমিকায় দেখা যায় কোহলিকে। বাকি ৩ বল করে ২ রান দেন কোহলি। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৪৭ রান। লিটন করেছেন ৩০ বলে ২১ রান। তানজিদের সংগ্রহ ২৪ বলে ২৪ রান।
হাত খুলছেন লিটন-তানজিদ
ধীরে ধীরে হাত খুলছেন লিটন এবং তানজিদ। ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৭ রান বাংলাদেশের। ষষ্ঠ ওভারে সিরাজকে ২টি চার হাঁকিয়েছিলেন লিটন। নিয়েছিলেন মোট ৯ রান। আর সপ্ত ওভারের শেষ বলে বুমরাহকে ছক্কা হাঁকান তানজিদ। ১৯ বলে ১৫ রান তানজিদের। ২৩ বলে ১১ রান লিটনের।
৫ ওভারে হল ১০ রান
৫ ওভারে হল শেষে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ১০ রান। ১৬ বলে ৯ রান তানজিদের। ১৪ বলে ১ রান লিটনের।
মেডেন বুমরাহের
তৃতীয় ওভারে কোনও রান হল না। মেডেন দিলেন বুমরাহ। ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫ রান বাংলাদেশের। ৯ বল খেলে ৫ রান করেছেন তানজিদ। ৯ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি লিটন।
দ্বিতীয় ওভারে এল ৪ রান
মহম্ম সিরাজের এই ওভারের প্রথম বলেই সিরাজকে চার হাঁকান তানজিদ। এছাড়া বাকি পাঁচ বলে রান আসেনি। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫ রান বাংলাদেশের। ৯ বল খেলে ৫ রান করেছেন তানজিদ। ৩ বল খেলে এখনও রানের খাতা খোলেননি লিটন।
প্রথম ওভার থেকে এল ১ রান
প্রথম ওভারে ১ রান দিলেন বুমরাহ। বাকি পাঁচটি বল ডট হয়েছে। লিটন ৩ বল খেললেও, রানের খাতা খোলেননি। ৩ বলে ১ রান তানজিদের।
খেলা শুরু
খেলা শুরু। বাংলাদেশের দুই ওপেনার- তানজিদ এবং লিটন ব্যাট করতে নেমেছেন। ভারতের হয়ে প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন জসপ্রীত বুমরাহ।
জাতীয় সঙ্গীত
দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা শুরু হবে।
বাংলাদেশের একাদশ
বাংলাদেশ টিমে হচ্ছে ২টি পরিবর্তন। শাকিব তো খেলতে পারছেন না। নাসুম ঢুকেছে তাঁর পরিবর্তে। এদিকে তাসকিন আহমেদের বদলে একাদশে ঢুকেছেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের টিম: তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশ
কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না ভারতীয় দলে। একই টিম ধরে রেখেছে ভারত। অর্থাৎ শার্দুল ঠাকুরকেই খেলানো হচ্ছে। মহম্মদ শামি বা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ভাগ্যের চাকা ঘুরল না। ভারতের টিম: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজ।
শাকিব নেই, বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ
ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলে নেই শাকিব আল হাসান। চোট পেয়ে অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত খেলতেই পারছেন না শাকিব। তার বদলে দলে ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ। আর শাকিবের বদলে ভারতের বিরুদ্ধে দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিল। অর্থাৎ ভারত রান তাড় করবে। রোহিত বলেছেন যে, তিনি টস জিতলে, প্রথমে বোলিংই নিতেন।
২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ফল
এখনও পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। নিজেদের জায়গা মজবুত করতে হলে, ভারতের বিরুদ্ধে আজ জিততেই হবে শাকিবদের। হারলে তারা বড় চাপে পড়ে যাবে।
২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের ফল
এখনও পর্যন্ত ২০২৩ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও হারেনি টিম ইন্ডিয়া। তিনটি ম্যাচ খেলে, তিনটিতেই জয় পেয়েছে তারা। জয়ের হ্য়াটট্রিকের সঙ্গে পয়েন্ট টেবলের দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছে ভারত। আজ যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হড় জয পায়, তবে ফের শীর্ষ স্থান দখলের সম্ভাবনা থাকবে রোহিতদের।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
চোটের কারণে বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসানকে নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁকে খেলানোর সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আসলে পরপর দুই ম্যাচ হেরে কিছুটা চাপেই থাকবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তানজিদ হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহমুদুল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
শার্দুল নাকি অশ্বিন, নাকি শামি- বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবেন কে? তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। টিম ইন্ডিয়ার সম্ভাব্য দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজ।
শাকিব খেলবেন?
শাকিব আল হাসান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের সময় তাঁর বাঁ কোয়াড্রিসেপসে গুরুতর চোট পান। ব্যথা এবং অস্বস্তি সত্ত্বেও, বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫১ বলে ৪০ রান করেন এবং বোলিংয়ে তাঁর দশ ওভারের পুরো কোটা পূরণ করেন। খেলা শেষ হতেই অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। স্ক্যান করা হয়। তার পরে অবশ্য নেটে অনুশীলন করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ বুধবার শাকিবকে অনুশীলন করতে দেখা যায়নি। বুধবার সন্ধ্যায় আবার স্ক্যান হয় শাকিবের। জানা গিয়েছে, শাকিবের চূড়ান্ত ফিটনেস টেস্ট টসের আগে করা হবে এবং তাঁকে খেলানো বা না খেলার সিদ্ধান্ত ম্যাচের আগে নেওয়া হবে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগের দিন বুধবার পুণেতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও কি বৃষ্টি হবে? কী বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস?ভালো খবর, বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। Accuweather এর মতে, খেলার সময়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। সুতরাং, একটি পূর্ণ ১০০-ওভারের ম্যাচই প্রত্যাশিত। তবে বিকেলে মাঝে মাঝে মেঘ করতে দেখা যেতে পারে। তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। তবে আর্দ্রতার কারণে গরম বেশি মনে হতে পারে এবং ঘাম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
ভারত-বাংলাদেশ ওডিআই সংঘর্ষের সার্বিক পরিসংখ্যান
ওডিআই ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেও রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল শাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলের চেয়ে বহু গুণ এগিয়ে। ভারত আর বাংলাদেশ মোট ৪০টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছে। ৩১টিতে জিতেছে ভারত। আটটি ওডিআই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে একটি ম্যাচে কোনও ফল হয়নি।
ওডিআই বিশ্বকাপের দুই দলের পরিসংখ্যান
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের মঞ্চে সব মিলিয়ে মোট চার বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ। সেখানেও অবশ্য বাংলাদেশের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল। চার বারের মধ্যে তিন বারই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। শুধু ২০০৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে হারতে হয়েছিল ভারতকে।
আজ ভারত-বাংলাদেশ দ্বৈরথ
বিশ্বকাপে একেবারে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম তিন ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করেছে রোহিত শর্মা ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই, সেমিফাইনালের রাস্তা অনেকটা প্রশস্ত করে ফেলবে ভারত। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পর এখন টগবগ করে ফুটছে রোহিত শর্মারা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও মেন ইন ব্লু তাদের জয়ের ধারা বজায় রাখবে, এমনটা সকলে মনে করলেও, সাবধানী রোহিতরা। আত্মবিশ্বাসী হলেও, তারা আত্মতুষ্ট হতে রাজি নয়। কারণ বিশ্বকাপে কিন্তু একের পর এক অঘটন ঘটছে। আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। নেদারল্যান্ড আবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ কিন্তু তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই টাইগারদের বিরুদ্ধে বাড়তি সতর্ক রোহিতরা। সম্প্রতি এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে সেই জয় যে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।