পুণের ম্যাচ শেষ হয়ে মুম্বইয়ে খেলতে নেমে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও ‘কনকাশন সাব’ বিতর্কের কথা ভুলতে পারছেন না ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জোস বাটলার। পুণেতে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শিবম দুবের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে কীভাবে হর্ষিত রানাকে নামানো হয়েছিল, তা নিয়ে সরাসরি খোঁচা দিয়ে মুম্বইয়ে টসের সময় বাটলার বলেন, ‘(আজ) আমাদের দলে ইমপ্যাক্ট সাবরা (পড়ুন রিজার্ভ বেঞ্চে চারজন রয়েছেন) হল - রেহান আহমেদ, সাকিব মেহমুদ, জেমি স্মিথ এবং গাস অ্যাটকিনসন।’ আর ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ বলে বাটলার যে ইঙ্গিতটা কোনদিকে করেছেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। ওই নিয়মটা আইপিএলে আছে। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেই। বাটলারদের মতে, দুবের পরিবর্তে যে হর্ষিতকে নামানো হয়েছিল, সেটা মোটেও ‘কনকাশন সাব’ ছিল না। বরং ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ ছিল।
পুণের পরে মুম্বইয়েও সরব বাটলার!
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরেও ঘুরিয়ে ‘ইমপ্যাক্ট সাব’-র কথা বলেছিলেন বাটলার। তিনি বলেছিলেন, 'ওটা লাইক-ফর-লাইক (অর্থাৎ দুবের উপযুক্ত পরিবর্ত হন হর্ষিত) পরিবর্ত নয়। আমরা সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। হয় শিবম দুবে আরও ২৫ মাইল (৪০ কিলোমিটারের বেশি) জোর বল করতে শুরু করেছে, নাহলে হর্ষিত নিজের ব্যাটিং খুব ভালো করেছে। আমার মতে, এটা খেলার অংশ। তাও আমাদের এই ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। তবে হ্যাঁ, আমরা ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই।’
আইপিএলের রেপ্লিকা! কটাক্ষ করেন অশ্বিনও
আজ একেবারে সরাসরি ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ শব্দটা প্রয়োগ করলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তবে শুধু বাটলার একা নন, অনেকেই সেটা মনে করেন। কারণ দুবে অলরাউন্ডার। আর হর্ষিত পুরোপুরি পেসার। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে 'অ্যাশ কি বাত' অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন তারকা অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, 'ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘরের মাঠে আরও একটি সিরিজে জিতল ভারত।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা কি ম্যাচ ছিল? এটা যেন আইপিএলের রেপ্লিকা ছিল যেন। সুপারসাব ছিল। আর ম্যাচটা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকে নিয়ে খেলা হল।’
আরও পড়ুন: ‘কনকাশন সাব’ হিসাবে হর্ষিতকে খেলানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলেন? মুখ খুললেন ভারতের বোলিং কোচ
আইসিসির নিয়মটা কী? পালটা সওয়াল অপর পক্ষের
যদিও পালটা অনেকে সওয়াল করেন, আইসিসির যে নিয়ম আছে, তাতে ম্যাচের বাকি থাকা অংশে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, সেরকম ভূমিকার পরিবর্তকে নামানো যেতে পারে। আর পুণেতে তো ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শেষে দুবের মাথায় লেগেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল গিয়ে হয়তো বলেছে যে দুবেকে দিয়ে চার ওভারই বোলিং করানোর কথা ছিল। আর সেই জায়গায় হর্ষিতকে নামানো হয়েছে। অবশ্যই ‘লাইক-ফর-লাইক’ পরিবর্ত নন হর্ষিত। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, হর্ষিত ব্যাট করতে পারেন কিনা, সেটা তখন বিবেচনা করার কথাও নয়।
ওই অংশের বক্তব্য, আসলে আইসিসির নিয়মে ফাঁক আছে। আর তাতে ভারতের কিছু করার নেই। ভারত সেই নিয়মের ধোঁয়াশার জায়গাটা কাজে লাগিয়েছে বলে বক্তব্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের। সেইসঙ্গে ওই মহলের বক্তব্য, যে ইংল্যান্ড এত কাঁদুনি গাইছে, তাদের একটু ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালের দিনটা মনে করে নেওয়া উচিত। এটা তো নেহাত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আর ওটা তো বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল।