১ বছর আগের ঘটনা, কিন্তু এরপর থেকে বারবারই রোহিত শর্মার কাছে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। তিনি এক বছর আগে বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় এক ঐতিহাসিক সংলাপ দিয়েছিলেন, যা সোশাল মিডিয়ায় বেজায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মিম এবং রিলসও বানানো হয় রোহিত শর্মার সেই কথাকে কেন্দ্র করে।
সেই সংলাপের শুরুটা বললেই আপনারা বুঝে যাবেন, কোন ঘটনার কথা বলা হচ্ছে। ইংল্যান্ড সিরিজে ভাইজাগ টেস্টের সময় রোহিত শর্মা দলের ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘কোই ভি গার্ডেন মে ঘুমে গা তো….. ’। আশা করছি আপনারা ভালোই বুঝতে পেরেছেন ভারত অধিনায়কের কোন কথার উল্লেখ এই প্রতিবেদনে করা হচ্ছে।
কেন গালাগাল? জানালেন রোহিত
এবার সেদিনের রাগের বহিঃপ্রকাশ নিয়েই মুখ খুললেন রোহিত শর্মা। কেন দলের যুব ক্রিকেটারদের ওপর চটেছিলেন হিটম্যান? কেনই বা তাঁদেরকে উজ্জিবীত করতে কোনও ভালো কথা নয়, বরং গালাগাল দিতে হয়েছিল মুম্বইকর এই ক্রিকেটারকে? আইপিএলে খারাপ পারফরমেন্সের মধ্যেই সম্প্রতি জিও হটস্টারের মুখোমুখি হয়ে সেই টেস্টে নিজের বিরক্তির কারণ জানালেন হিটম্যান।
কেউ গুরুত্ব দিচ্ছিল না
রোহিত শর্মা বলেন, ‘ভাইজাগে সেই সময় টেস্ট ম্যাচটা হচ্ছিল। আমি দেখলাম যখন ওভার শেষ হল আমাদের দলের ক্রিকেটাররা অলসভাবে মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেন মনে হচ্ছে বাগানে ঘুরতে এসেছে। কেউ দৌড়াচ্ছিল না, কারোর মধ্যে ম্যাচের কোনও গুরুত্ব দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমি স্লিপে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করছিলাম, দুই এন্ড থেকেই স্পিনাররা বোলিং করছিল। ম্যাচটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ আমাদের জিততেই হত। আর ম্যাচটা এক সুতোর ওপর কার্যত দাঁড়িয়েছিল। আমি সেদিন সকালেই ক্রিকেটারদের বলেছিলাম যে আমাদের প্রত্যেককে একটু বাড়তি কসরত করতে হবে, কিন্তু মাঠে দেখি সবাই বেশ মজা করছিল ’।
ক্রিকেটারদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তির অভাব ছিল
এরপর রোহিত আরও জানান ছেলেদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তির অভাব দেখেই তিনি বিরক্ত হয়ে কথাগুলো বলেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি প্রথমে ২-৩ ওভার দেখলাম, তারপর বললাম যে এভাবে চলতে পারে না। এরকমভাবে ক্রিকেট খেলা যেতে পারে না। সবাই যেন স্রোতের মতো বয়ে চলছিল, তখন আমি সবাইকে বললাম এভাবে হবে না। একটা পার্টনারশিপ গড়ে উঠছিল, সেই সময় আমাদের উইকেট নেওয়াটা খুব জরুরি ছিল। ওরম সময় সবাইকেই নিজের সেরাটা দিতে হয়, বরং বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু আমি যখন দেখলাম ওই সময় সবাই নিজেদের নিয়ে নিজেরা ব্যস্ত, তখন সেটা আমার ভালো লাগে নি ’।