এখনও ভারতের অন্যতম সেরা সুইং বোলার হিসেবে বিবেচিত হন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে ৩৩ বছরের ডানহাতি পেসারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। বেশ কিছুদিন হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার বাইরে রয়েছেন ভুবি। নির্বাচকরা একের পর এক আন্তর্জাতিক সিরিজে উপেক্ষা করলেও ভুবনেশ্বর বুঝিয়ে দিলেন, ফুরিয়ে যাননি তিনি। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্টের শুরুতেই চমকে দেওয়া পারফর্ম্যান্স উপহার দেন ভুবনেশ্বর।
কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে ইউপি টি-২০ লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় কানপুর সুপারস্টার্স ও নয়ডা সুপার কিংস। কেকেআর দলনায়ক নীতীশ রানার নেতৃত্বে নয়ডার হয়ে মাঠে নামেন ভুবনেশ্বর। উল্লেখ্য, নীতীশ রানা দিল্লি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই কারণেই তিনি ইউপি টি-২০ লিগে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে কানপুরকে নেতৃত্ব দিতে নামেন আকাশদীপ নাথ।
টস জিতে নয়ডা দলনায়ক নীতীশ রানা শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। নয়ডা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন সামর্থ সিং। তিনি ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ বলে ৯১ রান করে মাঠ ছাড়েন। ক্যাপ্টেন নীতীশ রানা ব্যাট হাতে নজর কাড়তে পারেননি। তিনি ৬ বলে ৪ রান করে আউট হন।
এছাড়া ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ২১ রান করেন আলমাস শৌকত। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ওশো মোহন। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩ বলে ১২ রান করে নট-আউট থাকেন সৌরভ কুমার। শান্তনু ৭ ও প্রশান্ত বীর ১ রান করে আউট হন। কানপুরের হয়ে আকিব খান ও জসমেদ ধনকড় ২টি করে উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন অঙ্কিত রাজপুত ও বিবেক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কানপুর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৩ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। অর্থাৎ, ১৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করে নয়ডা। সমীর রিজভি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪১ রান করেন। ২২ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
সমীর ক্রিজে থাকলে কানপুরকে জয় নিয়ে বিশেষ ভাবতে হতো না। তবে দরকারের সময় নয়ডাকে বড় সাফল্য এনে দেন ভুবনেশ্বর। ১৫.৩ ওভারে সমীরকে নিয়ন্ত্রিত সুইংয়ে বোল্ড করে কানপুর শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন ভুবি। এছাড়া ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৩২ রান করা আকাশদীপ নাথের উইকেটটিও তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রতিপক্ষ দলের সেরা দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভুবিই নয়ডার জয়ের পথ পরিষ্কার করেন। ভুবনেশ্বর ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন।