বাংলাদেশের লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫ স্থগিত হওয়ার পর বিদেশি ক্রিকেটারদের মুখোমুখি হওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। শনিবার দুবাই থেকে কথা বলার সময় রিশাদ নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর সব বিদেশি খেলোয়াড়কে নিরাপদে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিয়ে যায়।
লাহোর কালান্দার্স স্কোয়াডের সদস্য রিশাদ জানান, ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের সময়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। রিশাদ হোসেন ‘ক্রিকবাজ’-কে বলেন, ‘স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসে, টম কারান… সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিল।’ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছিল যে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল বলেছিলেন, ‘দুবাইয়ে নামার পর মিচেল বলল, সে আর কখনও পাকিস্তানে যাবে না, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে।’
আরও পড়ুন … মোহনবাগানের সঙ্গে টম অ্যালড্রেডের আরও এক বছরের চুক্তি! আবারও সবুজ মেরুনেই স্কটিশ ডিফেন্ডার
সবচেয়ে আবেগপ্রবণ অবস্থায় ছিলেন ইংল্যান্ডের টম কারান। বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। রিশাদ বলেন, ‘সে ছোট বাচ্চার মতো কাঁদতে শুরু করেছিল। ওকে সামলাতে দু-তিনজন লোক লাগছিল।’ ক্রিকেটারদের বিমানে করে দুবাই আনা হয়, সেখান থেকে তারা নিজ নিজ দেশে ফেরার জন্য সংযোগকারী ফ্লাইট ধরবেন।
আরও পড়ুন … বিরাট কোহলি নাকি আবারও ভারতের অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন, BCCI অনুরোধ নাকচ করেছে: রিপোর্ট
রিশাদ আরও বলেন, ‘একটা সঙ্কট কাটিয়ে আমরা দুবাই পৌঁছেছি এবং এখন ভালো লাগছে। পরে শুনেছি, আমাদের ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিট পরেই বিমানবন্দরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করে। এটা খুবই ভয়ংকর এবং মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা ছিল।’
পাকিস্তান বনাম ভারত যুদ্ধের মাঝে অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে উপমহাদেশের ক্রিকেটও। চলতি মাসেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে এই সফর এখন অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন … ২০০৭ সালে সচিনের সঙ্গে যা ঘটেছিল সেটাই কি এবার ২০২৫-এ কোহলির সঙ্গে ঘটবে?
রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিসিবির কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। সভার পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি যদিও জানিয়েছে, পাকিস্তান সফরের আগে হতে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ঠিক সময়ে হবে, তবে পাকিস্তান সফর হবে কি না তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তাই বিসিবির কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সফর (পাকিস্তান) নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করে নেওয়া হবে, যেটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও দলের সর্বোচ্চ স্বার্থকেই এগিয়ে রেখে দেখা হবে।’