বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। সামনেই আবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। তবে এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিশাখাপত্তনমে। মোট পাঁচটি টি-টোয়েন্টি হবে দুই দলের মধ্যে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই সিরিজে মনে করা হয়েছিল ফের অধিনায়ক হিসাবে দেখা যাবে কেএল রাহুলকে। এই মুহূর্তে তিনি চোট কাটিয়ে দলে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বিশ্বকাপে। ফলে রাহুলকে অজি সিরিজে অধিনায়ক হিসাবে দেখতে পেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। কারণ চোট থেকে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে তিনিও নেই এই সিরিজে। তাই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলাবেন সূর্য।
ফের একজন নতুন অধিনায়ক পেল ভারতীয় ক্রিকেট। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে যদি দেখা যায়, তাহলে সূর্যকুমার ভারতের নবম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এর আগে এই দায়িত্ব পালন করেছেন শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ারা। এবার এই তালিকায় জায়গা করে নিলেন সূর্য। এই নয় জন অধিনায়কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত শর্মা। ২০১১-২২ মরশুমে তিনি ৩২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে ২৪ ম্যাচে জিতেছে ভারত এবং ৮ ম্য়াচে হেরেছে।
এবার এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। যিনি ২০২২-২৩ মরশুমে টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৬টি ম্যাচে। যার মধ্যে ১০ টি ম্যাচে জয় এবং ৫টি ম্যাচে হারের মুখ দেখে ভারত। ১টি ম্যাচ ড্র হয়। এছাড়া বিরাট কোহলি ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন ১০টি ম্যাচে। যার মধ্যে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৬টি ম্যাচে জয় এবং ৪টি ম্যাচে হেরেছেন। শিখর ধাওয়ান নেতৃত্ব দেন মাত্র ৩টি ম্যাচে। তাঁর রেকর্ড একেবারেই ভালো নয়। ধাওয়ানের নেতৃত্বে ১টি ম্যাচে জয় এবং ২টি ম্যাচে হারে ভারত। পন্ত ২০২২ সালে মাত্র ৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। তিনি ২টি ম্যাচ জেতেন এবং ২টি ম্যাচ হারেন।
কেএল রাহুল একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। এবং সেই ম্যাচটি তিনি জিতে নেন। পাশাপাশি বুমরাহও বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিম ইন্ডিয়াকে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন। ২ ম্যাচেই জেতে তাঁর নেতৃত্বাধীন দল। তরুণ ক্রিকেটার রুতুরাজ গায়কোয়াড় তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ জেতে তাঁর দল।