পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ান ডে জয় করল প্যান্থার্স। ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয়েছিল মারখোরসের। এবছরই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ান ডে কাপের আয়োজন করা হয়। রবিবার ফাইনাল ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় লাভ করে প্যান্থার্স। প্রথমে ব্যাট করে ১২২ রান তুলতে সক্ষম হয় মারখোরস। তাদের হয়ে ফখর জামান ৪৯ বলে ৪৬ রান করেন। এছাড়া হাসিবুল্লাহ খান এবং বিসমিল্লাহ খান যথাক্রমে ২৭ এবং ১৬ রান করেন। এই ৩ জন ব্যাটসম্যান বাদে মারখোরস দলের কেউ দু'সংখ্যার রান করতে পারেননি। অন্যদিকে প্যান্থার্সের হয়ে বল হাতে প্রায় সব বোলারই নজর কাড়েন। ৩টি করে উইকেট নেন মহম্মদ হাসনাইন এবং আরাফাত মিনহাস। ২টি উইকেট নেন সাজিদ খান। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক শাদব খান এবং আলি রাজা।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে জেতার জন্য ১২৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা খুবই ছোট। তাই কোনও চাপ ছাড়াই ব্যাট করতে ক্রিজে আসেন প্যান্থার্সের ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার উমর সিদ্দিকি এবং আব্দুল বাঙ্গালজাই। দু’জনে যথাক্রমে ১৯ এবং ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৫ রান করেন সাজিদ খান, ৮ বলে ১৩ রান করেন উসমান খান। শেষে রিজওয়ান মেহমুদ ১২ বলে ১৬ এবং অধিনায়ক শাদব খান ৯ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এত কম রান হাতে নিয়ে খেলতে নেমে মারখোরস দলের বোলারদের খুব কিছু একটা করার ছিল না। তাও ৫ উইকেট নিয়ে লড়াই দেওয়ার পুরো চেষ্টা করেন তাঁরা। তাদের হয়ে দু'টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ এবং মহম্মদ ইরফান। একটি উইকেট নেন শাহনাওয়াজ দাহানি।
পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ান ডে কাপ পিসিবি দ্বারা পরিচালিত একটি ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এবছর এই টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট চলে। প্রায় ১৫০ ক্রিকেটার অংশ নিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ওয়ান ডে কাপে। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অনেক তারকা ক্রিকেটারও। প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটারদেরও মেন্টরের ভূমিকায় দেখা গেছে প্রতিযোগিতায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটকে উন্নত করতে এবং আরও তরুণ ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ভাবনা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।