শুভব্রত মুখার্জি:- ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলের হাত ধরে ক্রিকেট বিশ্বে শিরোনামে উঠে এসেছেন বাঁহাতি ব্যাটার রিঙ্কু সিং। উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলা এই ব্যাটার গত আইপিএলে তাঁর অনবদ্য পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি ম্যাচ ফিনিশার হিসেবেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ওভারে যশ দয়ালকে পরপর পাঁচ বলে পাঁচ ছয় মেরে কেকেআরের হয়ে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ফলস্বরুপ ভারতীয় স্কোয়াডে সুযোগ পান তিনি। ভারতের হয়ে তাঁর টি-২০ অভিষেক হয়েছিল আগেই । আর এবার ওয়ানডেতেও অভিষেক হল রিঙ্কুর। আর ওডিআইতে অভিষেক ম্যাচেই ব্যাট হাতে নজর না কাড়তে পারলেও বল হাতে উইকেট নিয়ে নজির গড়ে ফেললেন তিনি।
ব্যাটার রিঙ্কু বোলার হিসেবে তাঁর লিস্ট-এ ক্রিকেট, টি-২০ ক্রিকেটের পর ওয়ানডেতেও তাঁর অভিষেক ম্যাচেই উইকেট নেওয়ার নয়া নজির গড়েছেন। যদিও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাজেভাবেই হারতে হয়েছে কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল বাঁহাতি ওপেনার ব্যাটার সাই সুদর্শনের। নিজের অভিষেক ম্যাচেই অনবদ্য অপরাজিত অর্ধশতরানে ম্যাচ রাঙিয়েছিলেন সাই সুদর্শন। আর এদিন ম্যাচ জেতাতে না পারলেও ভারতের হয়ে ব্যাট এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন রিঙ্কু সিং।
প্রসঙ্গত ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব বেশি বোলিং না করলেও রিঙ্কুর ঝুলিতে রয়েছে ১৬ উইকেট। আর সেই তিনিই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম ওভারেই উইকেট নিলেন। অফস্পিনার সাজঘরে ফেরালেন রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে। তাঁর বোলিংয়ে কাট করার চেষ্টায় কট বিহাইন্ড আউট হন সেট হয়ে যাওয়া ডানহাতি ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার দাসেন। এদিন এক ওভারই বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। দিয়েছেন দুই রান। নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়াও এদিন ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে ১৪ বলে ১৭ রান করেছেন রিঙ্কু। ভারতীয় দল এদিন প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায়। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও অর্ধশতরান করেছেন সাই সুদর্শন। তিনি ৬২ রান করে আউট হয়েছেন। এছাড়াও অধিনায়ক কেএল রাহুল করেছেন ৫৬ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৪২.৩ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। রিজা হেনড্রিক্স ৫২ রান করেন। ওপেনার টনি দে জর্জি অপরাজিত থাকেন ১১৯ রান করে। এছাড়াও রাসি ভ্যান ডার দাসেন করেন ৩৬ রান। ভারত এই ম্যাচে হারের ফলে ওডিআই সিরিজের ফল আপাতত দাঁড়াল ১-১।