‘আমি বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। আর বলতে চেয়েছিলাম …………..’- কথাটা শেষ না করেই হাসিমুখে ‘গুডবাই স্যালুট’ করলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই দিনটা যে বেশি দূরে নেই, সেটা সকলেরই জানা ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের পরই যে মুহূর্তটা হঠাৎ করে চলে আসবে, সেটা সম্ভবত অনেকে ভাবতে পারেননি। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসের মধ্যে সেটা যেন কিছুটা এলেও চোখটা ভিজিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের। রোহিত অবশ্য আগে থেকেই পুরোটা ঠিক করে রেখেছিলেন। বিরাট কোহলি ফাইনাল শেষ হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা করে দেন। রোহিত হয়ত বিশ্বকাপ ট্রফিটা পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের শেষেই সেই ঘোষণাটা করবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন।
শীর্ষে থেকে বিদায় রোহিতের
আর সত্যিই তো এরকম সাফল্যের চূড়ায় থেকে কতজন আর খেলাকে বিদায় জানানোর সুযোগ পান। তাই তো যখন তাঁকে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয় যে বিশ্বকাপের পরও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন তো? তখন একেবারে হাসিমুখে রোহিত বলেন, ‘না, না, এটা আমারও (ভারতের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ।’ আর সেই কথাটা বলতেই পুরো প্রেস কনফারেন্স রুমে একটা হতাশাসূচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
তারইমধ্যে ভারতীয় অধিনায়ক বলতে থাকেন, ‘সত্যি কথা বলতে যেদিন থেকে এই ফর্ম্যাটে খেলতে শুরু করেছিলাম, সেদিন থেকে আমি উপভোগ করতে শুরু করেছিলাম। এই ফর্ম্যাটকে বিদায় (গুডবাই) জানানোর এর থেকে ভালো সময় হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি আমি। এই ফর্ম্যাটে খেলেই ভারতীয় দলের হয়ে আমার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল। এটাই আমি চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। আর বলতে চেয়েছিলাম ………….. (হেসে গুডবাই স্যালুট)।’
রোহিতের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ার
আর নায়কের মতো ‘গুডবাই স্যালুট’ করার সত্যি যোগ্যতম ব্যক্তিদের অন্যতম হলেন রোহিত। শনিবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) যখন তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বিদায় জানালেন, তখন তিনিই বিশ্বের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১৫৯টি (১৫১টি ইনিংস) ম্যাচে ৪,২৩১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ হল অপরাজিত ১২১ রান। গড় ৩২.০৫। ২০৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ৩৮৩টি চার মেরেছেন। ৩২টি অর্ধশতরান করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচবার।
জোড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় রোহিতের
আর দু'বার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাট বিশ্বকাপ জিতেছেন রোহিত। ২০০৭ সালের ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। ২০২৪ সালের ফাইনালে ব্যাট হাতে অতটাও প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও চাপের মুখে শেষ পাঁচ ওভারে নিজের বোলারদের একেবারে নিখুঁতভাবে ব্যবহার করে দেশকে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। আইসিসি ট্রফি জয়ের যে খরা চলছিল ১১ বছর ধরে, সেটা কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Row over SKY catch: মিলারের ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি লাইনে পা ঠেকে গিয়েছিল সূর্যের? দাবি SA ফ্যানদের